Search

রবিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

বিশেষ ফ্লাইটে দুবাই চলে গেছেন আনভীরের স্ত্রী-সন্তান সহ ৮জন

প্রভাতী ডেস্ক : কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং ৩জন গৃহপরিচারিকাসহ ৮জন দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

করোনাভাইরাস মহামারীতে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যরা ভাড়া করা একটি বিমানে বৃহস্পতিবার(২৯শে মার্চ) রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন এবং এপিবিএনের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

বসুন্ধরা এমডির পরিবারকে বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেন, “বুধবার তারা একটি বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি চেয়েছিলেন। আজ তাদের দেশ ছাড়ার কথা।”

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভাড়া করা ঐ উড়োজাহাজটির ফ্লাইট নম্বর ভিপিসি১১। রাত ৯টার কিছুক্ষণ আগে সেটি ঢাকা ত্যাগ করে।

বিমানের গতিপথ নির্দেশক ওয়েবসাইট রাডারবক্সে দেখা যায়, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে রওনা হয় ফ্লাইটটি। বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ৬ মিনিটে এটি দুবাইয়ের আল মাকতুম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঐ বিশেষ ফ্লাইটে যাত্রী মোট ৮জন। তাদের মধ্যে সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, তাদের দুই সন্তান, ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানের স্ত্রী ইয়াশা সোবহান ও তার মেয়ে এবং দুই পরিবারের ৩জন গৃহকর্মী রয়েছেন। আরেকটি ফ্লাইটে সাফওয়ান সোবহানেরও দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে বলে ইমিগ্রেশনের আরেকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

কলেজছাত্রী মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আসামি আনভীরের দেশত্যাগের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তার পরিবারের অন্য কারও ক্ষেত্রে এরকম বিধিনিষেধ আদালত থেকে আসেনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি দিয়েছি ঠিকই তবে তাদের বলা হয়েছে যারা ঐ ফ্লাইটে যাবেন তাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।” এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তাদের কারো বক্তব্য জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার(২৬শে এপ্রিল) রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর সেই রাতেই আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করে ঐ তরুণীর পরিবার।

পুলিশের আবেদনে আদালত পরদিন আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তার আগেই তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়ায়। এর মধ্যেই বুধবার তার পক্ষে হাইকোর্টে আগাম জামিনের একটি আবেদন জমা পড়ে। তবে বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানি করেনি আদালত।

আনভীরের আগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তার ভাই সাফিয়াত সোবহান সানবীর। বসুন্ধরা কমিউনিকেশন্সের পরিচালক হুমায়ুন কবীর সাব্বির হত্যাকাণ্ডের পর ২০০৬ সালে সানবীর দেশ ছেড়েছিলেন। তারপর এমডির দায়িত্বে আসেন আনভীর।

২০১১ সালে সাব্বির হত্যামামলায় খালাস পাওয়া সানবীর পরে দেশে ফিরলেও এমডি পদে আর তাকে ফেরাননি তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান (শাহ আলম)।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print