
এম.জিয়াউল হক : চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর দলটির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নগরীর প্রবর্তক এলাকার ট্রিটমেন্ট সেন্টার থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর মুঠোফোনে বলেন, শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়া সোমবার বিকেলে পুলিশের ওপর হামলা, রাস্তায় আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায়ও তিনি জড়িত। এজন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন চকবাজার থানায় নগর বিএনপির মহিলা সম্পাদিকা ডা.লুসি খানের করা এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। সেই সাথে আজকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগও আছে।
গ্রেপ্তারের পর শাহাদাতকে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। গত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন ডা. শাহাদাত। পরে নির্বাচন কমিশনার এবং বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন তিনি।
শাহাদাতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন নগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যিনি মানুষকে বিনা টাকায় চিকিৎসা করেন, সাহায্য করেন, তিনি চাঁদাবাজি করবেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সব পুলিশের ষড়যন্ত্র। আন্দোলন দমিয়ে রাখতে সব করছে পুলিশ।’
এর আগে বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের ৬জন সদস্য এবং বিএনপির নেতা-কর্মীসহ ২১ জন আহত হন। নগর মহিলা দলের সভানেত্রীসহ ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকে।