রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রভাতী ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর আবেদন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এরপর তা অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

এর আগে ৮ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর মত দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগের শর্তগুলো বহাল রাখার মতও দেয় মন্ত্রণালয়টি। দ্বিতীয় দফায় তার ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ। শর্তমতে, এ সময়ে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন। প্রয়োজনে দেশের যে কোনো হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

খালেদা জিয়ার পরিবার তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো, মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন জানায় ২রা মার্চ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই আবেদনের বিষয়ে মতামত দিতে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। এরপর ৩০শে অক্টোবর তার সাজা ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। আগেরদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিশেষ আদালত। কারাদণ্ড ছাড়াও তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সাজার পর নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকার পুরোনো কারাগারে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। পরে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। মামলা দুটি ষড়যন্ত্রমূলক বলার পাশাপাশি বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এক্ষেত্রে তারা আদালতেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বরাবরই বিফল হতে হয়েছে তাদের।

এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হলে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। পরে সরকার দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষাপটে পরে তা আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print