
এম.জিয়াউল হক: শুক্রবার (২৫শে ডিসেম্বর) বিপুল সংখ্যক মুসল্লীদের উপস্থিতিতে জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বাঁশখালী থানাধীন পূর্ব চাম্বল চৌমুহনী মার্কেটস্থ ইমাম মালেক সাহেব হুজুর জামে মসজিদের শুভ উদ্বোধন করা হয়। অত্র এলাকার বিশিষ্ট দানবীর ও সমাজসেবক সৌদি প্রবাসী আলহাজ্ব মৌলানা হোছাইন আহমদের নিজস্ব অর্থায়নে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাতার পিতা বিশিষ্ট ইমাম ও সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক জনাব আব্দুল মালেকের নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।

জুমার নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল জলিল, চাম্বল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফুজাইল বিন আব্দুল জলিল, ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তা মৌলানা শাহাদাত হোছাইন, দক্ষিণ চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ.শিক্ষক মাষ্টার মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
জুমার নামাজে খুৎবা প্রদান ও ইমামতি করেন মাওলানা জহিরুল ইসলাম এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন জনাব আব্দুল মালেক।
মসজিদের উদ্বোধনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জুমার নামায শেষে মুসল্লী এবং এলাকাবাসীর মাঝে তবরুক বিতরণ করা হয়।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম বলেন, সৌদি প্রবাসী হোছাইন আহমদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি উনার এই দানটি যেন কবুল করেন। মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর, কিন্তু তার বাবা একজন বড় আলেম হিসেবে উনার নামে নামকরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকা ভবন নির্মাণ করে একটি মাদ্রাসা ও পর্যায়ক্রমে হেফজখানা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে তার। মসজিদের উন্নয়নে আমার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং সুপরামর্শ অব্যাহত থাকবে।

চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, মৌলানা হোছাইন আহমদ আমার ইউনিয়নের একজন কৃতিসন্তান। প্রবাসে থাকলেও এলাকার মানুষের জন্য তার গভীর ভালোবাসা রয়েছে।এই মসজিদ নির্মাণ করার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই মসজিদের উন্নয়নে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা হোছাইন আহমদ মুঠোফোনে বলেন, এই সংক্ষিপ্ত জীবনে মহান আল্লাহকে খুশি করতে পারলে পরকালে নাজাতের পথ সুগম হয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর, ইবাদতের জায়গা। এখানে সবাই নামাজ আদায় করতে পারবেন। এই মসজিদে এসে মুসল্লিরা যাতে সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন এবং তাদের অন্তরে প্রশান্তি পায় সেজন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই মসজিদকে কেন্দ্র করে পর্যায়ক্রমে একটি অত্যাধুনিক মাদ্রাসাসহ জনকল্যান মূলক কর্মসূচী গ্রহন করা হবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে এলাকাবাসীর সেবা করতে পারার জন্য সবার দোয়া কামনা করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠাতার ছোট ভাই ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তা মৌলানা শাহাদাত হোছাইন বলেন, আমার আব্বা এবং বড় ভাইয়ের দীর্ঘদিনের আশা ছিল অত্র এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করা। আজ সেই আশা পরিপূর্ণ হওয়ায় মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের দরবারে অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করি। আজ থেকে অত্র মসজিদে নিয়মিত ওয়াক্তিয়া নামায ও জুমার নামায আদায় হবে। সুন্দরভাবে মসজিদ পরিচালনার জন্য তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও সুপরামর্শ কামনা করেন তিনি ।









