
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫৯ জন। এর আগে গত ২২ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামেনি। নতুন শনাক্ত ১৫৯ জনের মধ্যে নগরের ৮২ জন এবং বাকি ৭৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এদিন চট্টগামে নতুন যোগ হওয়া শেভরন ছাড়া ৬টি ল্যাব মিলিয়ে ৮৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এসব রোগী মেলে।
এই নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭৬২৫ জনে। একই সাথে করোনার থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন আরো ৫ জন, যাদের মধ্যে নগরের ৩ জন ও উপজেলার ২ জন। ফলে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১৬৫। এদিন চট্টগ্রামে কোন করোনা রোগী সুস্থ হননি, তাই সুস্থতার সংখ্যা আগের দিনের ৯০৮জনই রইল।
শনিবার (২৭ জুন) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের ৫টি এবং কক্সবাজারের ১টি ল্যাব মিলিয়ে সর্বমোট ৮৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ১৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৮২ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৭৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্তদের সবচেয়ে বেশি ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে। সেখানে সর্বাধিক ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ৩৪ জন নগরের ও ২৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে মাত্র ৪৩ জনের শরীরে। যাদের ১৫ জন নগরের ও ২৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ২৪ জন। যাদের ৭ জন নগরের ও বাকি ১৭ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ২১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১৯ জনই নগরের, বাকি ২ জন উপজেলার রোগী।
চট্টগ্রামের বেসরকারি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের লাবে ৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করিয়ে ৭ জন নগরের করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামে নতুন যোগ হওয়া করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব শেভরনের কোন তথ্য এদিন পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন করোনা শনাক্ত ৭৭ জনের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সবচেয়ে বেশি হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। সীতাকুণ্ড উপজেলায় পাওয়া যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জন। এছাড়া আনোয়ারায় ৮ জন, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৭ জন করে, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি ও রাউজানে ৬ জন করে, মিরসরাইয়ে ৫ জন, পটিয়ায় ৪ জন, লোহাগাড়ায় ৩ জন, চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।