Search

মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা অবৈধ ঘোষণা করলো হাইকোর্ট !

প্রভাতী ডেস্ক : ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদেরকে সাজা দেয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজাও বাতিল করা হয়েছে।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বুধবার(২৪শে জুন) রাতে ৩১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

বৃহস্পতিবার(২৫শে জুন) ব্যারিস্টার আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রায় প্রকাশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

রায়ে বলা হয়েছে, শিশুদের বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগের বিচার শুধু শিশু আদালতেই হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দূরের কথা, নিন্ম আদালতের কোনো বিচারক শিশুদের বিচার করলেও তা হবে বেআইনি।

কোনো অপরাধে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু একত্রে জড়িত থাকলেও শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতই করবে। অন্য কোনো আদালত দণ্ড দিলে তা অবৈধ হবে। শিশুদেরকে মোবাইল কোর্ট কোনো দণ্ড দিতে পারবে না। কারণ মোবাইল কোর্ট কোনো শিশুকে দণ্ড দিলে তা সংবিধানের ৩০ ও ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। ১২১ শিশুকে দণ্ডদানের ক্ষেত্রেও মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

গত ১১ মার্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দেন। আদালত রায়ে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে একই সময়ে ওই ১২১ শিশুকে যে প্রক্রিয়ায় সাজা দেয়া হয়েছে- তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও অমানবিক। একই সঙ্গে এই ধরনের সাজা প্রদান আমাদের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বহির্বিশ্বে দেশের সুনামকে ব্যাহত করেছে। তাই এখনই তা বন্ধ করতে হবে।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দণ্ডে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আদালতের আদেশের পরে এসব শিশুকে মুক্তি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত শিশুদের মুক্তির নির্দেশ ও রুল জারি করেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print