রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

করোনার কাছে হার মানবো না: প্রধানমন্ত্রী

প্রভাতী ডেস্ক : করোনাভাইরাস নামের অদৃশ্য শক্তির কাছে কোনোভাবেই হার না মানার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে করোনার কাছে হার মানতে হবে, এটা তো হবে না। আমি হার মানবো না, মৃত্যু তো হবেই। মৃত্যু যেকোন মুহূর্তে যে কোন কারণে হতে পারে। কিন্তু ভয়ে ভীত হয়ে অদৃশ্য শক্তির কাছে হার মানতে হবে, তা হবে না।’

সোমবার(১৫ই জুন) সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্পেশাল সিকিরিউটি ফোর্সের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এই প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করা এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি এবং ব্যক্তিগতভাবে মাঠপর্যায়ে এর বাস্তবায়ন তদারকি করছি।’

সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিদিন একের পর এক মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হচ্ছে। আজও সিলেটের সাবেক মেয়র কামরান মৃত্যুবরণ করলেন। তার উপর গ্রেনেড হামলা হলেও তিনি রক্ষা পেয়েছেন কিন্তু করোনা তার প্রাণ কেড়ে নিলো।’

নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসএসএফে’র সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সেজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিলো শিক্ষা-দীক্ষায় এ জাতিকে এমনভাবে তৈরি করা যেন বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে।’

স্বাধীন রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর একের পর এক ক্যু হয়েছে। সেই সময় বাংলাদেশে ১৯ টা ক্যু হয়েছে। এরকম একটা দুর্বিষহ অবস্থা ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি আমার সাথে যারা কাজ করেন বা আমার নিরাপত্তায় যারা রয়েছেন তাদের জীবনটাও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের এএসএফের প্রতিটা সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এসএসএফকে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় সেজন্য সবধরণের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা করেছে সরকার। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এসএসএফকে আরো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। অপরাধের ধরণ জেনে সেটা দমনের জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবস্থা করেছে সরকার। এসএসএফ সদস্যদের জন্য নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এসএসএফের সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুযোগ্য নেতৃত্বে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফের উত্তরোত্তর উন্নতি অব্যাহত থাকবে। শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং পেশাগত মান বিচারে এই বাহিনী হয়ে উঠুক একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনী। ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমি এই প্রত্যাশা করছি।’

২০২০ সাল একটি তাৎপর্যপূর্ণ বছর উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উদযাপন করছি। এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে আমরা পরিকল্পনামাফিক অনুষ্ঠানসমূহ উদযাপন করতে পারছি না। জনগণের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান আমরা স্থগিত করেছি। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। তবে আমি সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারি, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা তারই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print