শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

চসিক নির্বাচন : বিএনপি তৃণমূলের আস্থা ডা. শাহাদাতের উপর !

এম. জিয়াউল হক : চসিক মেয়র পদে প্রার্থীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন লন্ডনে অবস্থান করা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।তবে চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের প্রথম পছন্দ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ডাক্তার শাহাদাত হোসেন।

মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকা একেবারে ছোট। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর দলের মনোনয়ন চান। নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের নাম আলোচনায় থাকলেও নির্বাচনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তিনি। চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচন ও পরবর্তী অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ‘বাজেভাবে’ হেরে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তিনি। এর বাইরে আলোচনায় রয়েছেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খানও। অবশ্য বড় কোনো ‘অঘটন’ না ঘটলে ডা. শাহাদাতের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তফসিল ঘোষণার দু-একদিন পর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চসিক নির্বাচন সামনে রেখে গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই দিন তিনি দলের সম্ভাব্য দুই প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা দু’জনই নিজেদের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। তবে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক, তার জন্য কাজ করার কথা বলেন তারা। তবে তাদের মূল ভাবনা হচ্ছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

গত ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন ডা. শাহাদাত। কারাগারে থেকেই নির্বাচন করেন তিনি। সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে হেরে যান বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কাছে। এর পর থেকে অবশ্য সিটি নির্বাচন সামনে রেখে কাজ শুরু করেন তিনি। অন্যদিকে, জাতীয় কিংবা স্থানীয় কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। এবার সেই সুযোগ নিতে আগ্রহ নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দলের মহাসচিবসহ হাইকমান্ডকেও আমার পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা জানিয়েছি। তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এজন্য আমি নির্বাচনের মাঠ গুছিয়েছি। আশা করি মনোনয়ন পাব। অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলেও ধানের শীষের হয়ে কাজ করব।’

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি কোনো নির্বাচনে অংশ নিইনি। দলের প্রার্থীদের জন্যই কাজ করেছি। ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে শাহাদাত হোসেনের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাজ করেছি। ফলে এবার আমি সুযোগ চাই।’

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার পর দু-একদিনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে। সেখানে চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র পদ ছাড়াও ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দেবে বিএনপি। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে দলটি। দলের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরির কাজও চলছে।

প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীই ভালো:

নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী দলের মনোনয়ন পাওয়ায় খুশি স্থানীয় বিএনপি নেতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব খাটাতেন। তাদের বিপুল সংখ্যক অনুসারী ও নেতাকর্মী থাকায় তারা নিজ নিজ এলাকায় দাপট দেখাতেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের বাইরে যেত না। এসব দিক থেকে রেজাউল করিমই ভালো।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print