Search

সোমবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হচ্ছে, আসামিরা পাচ্ছেন দায়মুক্তি

ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল

রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত করেছে সরকার।এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বৃহস্পতিবার(৯ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংযুক্তির বিষয়টি অনুমোদন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ৫০ সংশোধন করে ৫০ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নূতন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, “রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ৩১ এবং ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা কোনো পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হইবে এবং উহাদের বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।

“উক্ত ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।”

ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। সেখানে অনেক ‘নিবর্তনমূলক’ ধারা নিয়ে সমালোচনা চলতে থাকায় ২০২৩ সালে কিছুটা সংশোধন এনে করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে।

বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের বলেন, “২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মুক্তি পেয়েছেন।”

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পাশাপাশি ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এসব নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘আরও সুরক্ষিত হবে’ বলে সরকার আশা করছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print