মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

বাবুল-মিতুর দুই সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছে না পিবিআই

প্রভাতী ডেস্ক: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল তার বাসার যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, সেটি ভুল ছিল। পরে পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল বাসার আসল ঠিকানা দেন।

তবে সেই বাসায়ও বাবুলের দুই সন্তানকে পাওয়া যায়নি। বাড়িওয়ালার বরাত দিয়ে পিবিআই জানিয়েছে, বাবুলকে গ্রেফতারের দিনই তার বর্তমান স্ত্রী বাবুল-মিতুর দুই সন্তানকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন। এই অবস্থায় শিশু দুটির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাদের নানা-নানি।

রোববার (১৬ মে) পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল ভুল ঠিকানা দিয়েছিলেন। পরে আবারো জেরার মুখে আসল ঠিকানা দেন। তবে বাবুল আক্তারের আত্মীয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বাচ্চাদের মনে কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে খুঁজে বের করব। তারপর বাবুল আক্তারের কাছে জানতে চাইব দুই সন্তানের অভিভাবকত্বের বিষয়ে তার ইচ্ছার কথা। এরপর আদালতের বিষয় তো আছেই। দু-একদিনের মধ্যে এই ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, বাবুল আক্তার তার সন্তানদের নিয়ে কিছুটা বিচলিত। তবে রিমান্ডের দুদিনে তিনি মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে তেমন কোনো কথা বলেননি। একরকম নিরুত্তর ছিলেন।

বাবুল বলেন, তার নার্ভ যথেষ্ট শক্ত আছে। এখন পর্যন্ত স্ত্রী হত্যার আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কোনো ইচ্ছে প্রকাশ তিনি করেননি। কথা বলছেন খুব কম।

২০১৬ সালের ৫ই জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মিতু। কুপিয়ে ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। ওই সময় ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচিত হয়।

ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। পরে চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাবুল আক্তার। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পায় পিবিআই। গত ১১ই মে তাকে ডেকে এনে হেফাজতে নেয় তদন্ত সংস্থা।

গত বুধবার (১২ মে) দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা। মামলায় আসামি করা হয় আরো ৭জনকে। তারা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print