শুক্রবার, ১৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ১৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ১৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ৭ দিনের লকডাউন: খোলা থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান

প্রভাতী ডেস্ক : বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার অথবা মঙ্গলবার থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আপাতত ৭ দিন লকডাউন দিচ্ছি। আশা করছি, এই ৭ দিন মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখতে পারলে সংক্রমণ রোধ করতে পারব। না হলে সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে যাবে। মানুষের নানা বিষয় আছে, সেগুলো ৭ দিন লকডাউনের শেষের দিকে বিবেচনা করব, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আপাতত ৭ দিন থাকবে।’

যা খোলা থাকবে: বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়- এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল ও ক্লিনিক, দমকল বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের মতো সেবা প্রতিষ্ঠান, ওষুধের দোকান, মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি।
এর বাইরে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। তবে শিফট অনুযায়ী সেখানে শ্রমিকরা কাজ করবে।

২০২০ সালে যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন সীমিত আকারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল। এবারও সীমিতভাবে ব্যাংক খোলা রাখার আভাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

তবে সেই সময় টানা ৬৬ দিন বাংলাদেশের শেয়ারবাজার পুরোপুরি বন্ধ ছিল। কিন্তু এইবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে, লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারেও লেনদেন চলবে।

এছাড়া লকডাউন চলাকালে আন্তঃজেলা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত ২৯শে মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানায় অর্ধেক জনবল, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮টি নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

কী করা যাবে আর কী করা যাবে না : সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের সময় জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।

বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোনরকম জনসমাগম করা নিষেধ। মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত, গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

সবসময় মাস্ক পরা ছাড়াও যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া রাত ১০টার পরে বাইরে চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print