
প্রভাতী ডেস্ক: শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুর গ্রামে বর্ষীয়ান এ নেতার দাফন সম্পন্ন হয় গতকাল(১৯শে মার্চ) সন্ধ্যায়। এ সময় প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক নেতা-কর্মী ও স্বজন। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্রামের বাড়ির সামনে ৬ষ্ঠ এবং শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জানাজাতেই দলমত-নির্বিশেষে মানুষের ঢল নামে।
চার দশকের কর্মস্থল থেকে শেষ বিদায়:
শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে লাশবাহী গাড়িটি কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসে। গাড়ির চারপাশে ভিড় জমায় প্রিয় সহকর্মীরা। প্রিয় সিনিয়রের মুখ দেখার অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে থাকেন জুনিয়ররা।
কিন্তু কারোরই সেই সুযোগটি হয়নি। মহামারি করোনায় প্রিয় নেতার লাশ দেখতে না পেরে আক্ষেপ করতে দেখা যায় অনেক আইনজীবীকে। বলতে শুনা যায় জীবনের তিন-চার দশক যার সঙ্গে পার করলাম, আইনি নানা জটিলতার সমাধান পেতাম যার কাছ থেকে সেই মানুষটি মারা যাওয়ার পর লাশটিও দেখতে পেলাম না। করোনা আমাদের মানব জীবনকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট ফজলুুুর রহমান, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম), এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলু, বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী আইনজীবীরা। এ
ছাড়া, এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপি’র মহাসচিব মনজুর হোসেন ঈসা, জাগপা মহাসচিব ইকবাল হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু অসুস্থতার কারণে জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাধারণ সম্পাদক সাধারণ মুহাম্মদ ইয়াছিন, আব্দুল জব্বার খান, বাহাউদ্দিন ইমরান, রাশিম মোল্লা। এরপর ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে ব্যারিস্টার মওদুদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের দিকে। কথা হয় তরুণ আইনজীবী জামিউল হক ফয়সালের সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মওদুদ স্যার অসম্ভব রকম জুনিয়রবান্ধব আইনজীবী ছিলেন। কোনো জুনিয়রের মামলাই তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। ফি’র ব্যাপারে কোনো চুক্তি করতেন না। যে যা দিতেন তাই নিতেন। আমাদের মতো জুনিয়র আজ একজন প্রকৃত অভিভাবক হারালো। কথা হয় ব্যারিস্টার মওদুদের জুনিয়র ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধানের সঙ্গে। তিনি জানান, আমি স্যারের জুনিয়র হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি। এই ৭ বছরে আমি তাকে কোনো বিষয়ে উত্তেজিত হতে দেখিনি। তিনি মামলা শুনানি করতে যাওয়ার আগে অনেক পড়াশুনা করতেন। নথি ভালো করে দেখতেন। জুনিয়দের শুরু থেকেই সম্মানী দিতেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে অসাধারণ মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন তার নিকটাত্মীয় তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, তার সঙ্গে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও সম্পর্কের হৃদ্যতা কখনো কমেনি। রাজনৈতিক কারণে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনোই রাস্তায় নেমে আসতে দেননি মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ আমার বড় ভাই হিসেবে ছিলেন। তার সঙ্গে প্রায় অর্ধশতাব্দীর পরিচয়। উনার বিয়েতে গিয়েই আমার স্ত্রীকে দেখতে পাই। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব আর আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি আগে রাজনীতি করতাম না, পরে পথ আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু এ কারণে আমাদের পারিবারিক হৃদ্যতা ও ভালোবাসার কোনো কমতি হয়নি। মওদুদ আহমদকে সৌখিন, উদারমনা, সুরুচি সম্পন্ন ভালো মানুষ অ্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মওদুদ আহমদের ভায়রা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, তিনি কাউকে কখনোই কষ্ট দিয়ে কথা বলেননি।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা:
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের জনগণ। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মওদুদ আহমদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। এরপর বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), এনডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মওদুদ আহমদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মওদুদ আহমদ সারাজীবন একজন সংগ্রামী নেতা ছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রেখেছেন। মোশাররফ বলেন, আজকে মওদুদ আহমদকে হারিয়ে আমরা একজন বিশিষ্ট, বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদকে হারালাম। জাতি হারালো একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হারালো একজন অভিভাবককে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মওদুদ আহমদের ভায়রা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি মনে করি যা দৃশ্যমান হয়েছে সেটি আপনারা বিবেচনা করবেন। রাজনীতিতে বিভাজন থাকবে। তবে পরস্পরের মধ্যে আরো সুসম্পর্ক থাকা উচিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখতে গেলে, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের প্রসঙ্গ লিখতে গেলে মওদুদ আহমদের নাম বাদ দেয়া যাবে না। একজন নায়ককে আমরা হারালাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মওদুদ আহমদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাগপা একাংশের সভাপতি লুৎফর রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দীন আলম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।
নয়াপল্টনে মানুষের ঢল:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদের জানাজায় দলের নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। গতকাল সকাল ১১টায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রখ্যাত এই আইনজীবীর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা উপলক্ষে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বেলা পৌনে ১১টায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ নিয়ে আসা হয় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে। বেলা ১১টায় জানাজা শেষ হয়। জানাজা শেষে প্রিয় নেতার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনের জানাজায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি আবদুল হালিম জানাজায় অংশ নেন। এরপর মওদুদ আহমদের মরদেহ নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। দুপুর আড়াইটায় নোয়াখালীর কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ মাঠে এবং বিকালে বসুরহাট কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার অনুমতি মেলেনি সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়:
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জানাজার অনুমতি পায়নি বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আমি পরিবারের পক্ষ থেকে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত আবেদন করি। সংসদের বর্তমান চিফ হুইপ আমাকে কোভিড ইস্যু দেখিয়ে অপারগতা জানান। দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মওদুদ আহমদের প্রথম জানাজার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত:
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় একাধিক জানাজা শেষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুরের জৌলুস পাটওয়ারী বাড়ি (নিজবাড়ি) মসজিদের পাশে বাবা মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ কবিরহাট কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে বেলা আড়াইটায় তৃতীয় জানাজা এবং বিকাল ৪টায় বসুরহাট কোম্পানীগঞ্জ সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় যেন মানুষের ঢল নামে। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, সাবেক মেয়র আলা বক্স তাহের টিটুসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর বিকাল ৫টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ও মওদুদ আহমদের ভায়রা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলে হোসেন আবেদ, নোয়াখালী জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম হায়দার বি.এস.সি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক এমপি হাসান জসীম উদ্দিন মওদুদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সর্বস্তরের জনগণসহ হাজার হাজার জনতা। বসুরহাট সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পূর্বে মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠককে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর তার বাড়িতে শেষ জানাজার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।