
প্রভাতী ডেস্ক : স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করার সুখবরটি জাতিকে দিতে শনিবার (২৭শে ফেব্রুয়ারী) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। সম্মেলনে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেন। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন কি না- এক সাংবাদিক জানতে চান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪ আসলে তখন সিদ্ধান্ত নেব, কী করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার মান ধরে রাখতে হবে। এজন্য আমাদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমার মনে হয়, এ কথার মধ্যে সব উত্তর আছে।
ডিজিটাল আইন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যেহেতু গড়ে তুলেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটা আমাদের পালন করতে হবে যাতে করে আমাদের শিশুরা বিপথগামী না হয়। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য। সেজন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিচ্ছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করেছে।
বিষয়টি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে অশান্তি সৃষ্টি করাও উচিত নয়। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিল। সেরকম কিছু তো ঘটেনি। কেউ অসুস্থ হলে বা এই জিনিসটার কী করার আছে।
আলজাজিরা চ্যানেলে প্রচারিত আলোচিত সেই প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়াও নাই, আমার কিছু বলারও নাই। কারণ, একটা চ্যানেল কী বলছে না বলছে সেটা দেশবাসীই বিচার করে দেখবে। দেশের মানুষই বিচার করে দেখবে এটা কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা, কতটুকু বানোয়াট। আর কী উদ্দেশ্যে তারা করছে সেটাও বড় কথা।