
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে পোস্টারিং করায় মাদক ব্যবসায়ীদের ছুরিকাঘাতে আহত আশিকুর রহমান রোহিত (২০) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত রোহিত
চকবাজার থানাধীন ডিসি রোডের চাঁন মিয়া মুন্সি লেইনের আরবান আলীর বাড়ির মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে। তিনি ওমর গনি এমইএস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোহিত নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, রোহিত সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী। গত ৫ জানুয়ারি মা মনি ক্লাবের পক্ষ থেকে এলাকায় মাদকবিরোধী পোস্টারিং করে রোহিতসহ ক্লাবের সদস্যরা। পরে এসব পোস্টার আসামিরা ছিঁড়ে ফেলতে গেলে রোহিত বাধা দেয়। এতে আসামিরা রোহিতের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। গত ৮ই জানুয়ারি দেওয়ানবাজার এলাকায় নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর গণসংযোগে অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপারেশন করার পূর্বে যখন রোহিতের জ্ঞান ছিল তখন তাকে মহিউদ্দীনের নির্দেশে ছুরিকাঘাতে সাহাবু, বাবু, আকবর অংশ নেয় বলে জানায়। অপারেশনের পর ৭ দিন আইসিইউতে থাকার পর আজ (শুক্রবার) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পর রোহিতের ভাই জাহিদুর রহমান বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো মো .মহিউদ্দিন (৩৫), সাহাবু প্রকাশ কালা সাহাবু (২৬) ও মো. বাবু (২১)।
রোহিতের বড় ভাই জাহিদুর রহমান দাবি করেছিলেন গত ৫ জানুয়ারি মা মনি ক্লাবের পক্ষ থেকে এলাকায় মাদকবিরোধী পোস্টারিং করে রোহিত। পরে এসব পোস্টার আসামিরা ছিঁড়ে ফেলতে গেলে রোহিত বাধা দেয়। এতে আসামিরা রোহিতের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেন। এর জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে রোহিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নগরীর গুলজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ঘটনার ৭ দিনেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে অবিলম্বে খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়।