বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

বিকাশ গ্রাহকেরা পাবেন সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন !

প্রভাতী ডেস্ক : বাংলাদেশের মোবাইলের মাধ্যমেই তাৎক্ষণিক ঋণ পাওয়ার সুযোগ চালু হচ্ছে। দেশের শীর্ষ মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের গ্রাহকদের এই ঋণ দেবে সিটি ব্যাংক। বিকাশে লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ঠিক করবে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা। ঋণ পাওয়ার যোগ্য হলে তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ব্যাংক ওই গ্রাহককে ঋণ দেবে।

এই ঋণ পেতে কোন নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। শুধু বিকাশ অ্যাপে ক্লিক করে ঋণ আবেদন করতে হবে। মুহূর্তেই ঋণের টাকা চলে যাবে বিকাশ হিসাবে। গ্রাহকের অবস্থান কোন জেলায় বা ঋণের বন্ধকী আছে কি না, এমন কোন কিছুরই প্রয়োজন এতে পড়বে না।
এভাবেই ডিজিটাল ঋণের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।

অতীব জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন ডিজিটাল ঋণ চালু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় বিকাশের কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। সফলভাবে প্রকল্প শেষে বাড়বে ঋণের পরিমাণ ও আওতা।

প্রতিবেশী ভারত, চীন, ফিলিপাইন, কেনিয়াসহ কয়েকটি দেশে এই ডিজিটাল ঋণ বেশ জনপ্রিয়।

ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অন্য পেশাজীবিরাও ডিজিটাল ঋণ পাচ্ছেন। নতুন এই সেবা চালুর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এর আগে শুধু টাকা জমা ও পাঠানোতেই চালু ছিল মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএসএস) কার্যক্রম।

সিটি ব্যাংক ও বিকাশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রকল্প সফলভাবে শেষ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে এই সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করবে সিটি ব্যাংক। ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত বিকাশ গ্রাহকেরা এই সেবা পাবেন।

জানা যায়, ঋণ নেওয়ার পরের তিন মাসে সম-পরিমাণ তিন কিস্তিতে নির্ধারিত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহকের বিকাশ হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে। নির্ধারিত পরিশোধ তারিখের আগে গ্রাহককে ক্ষুদে বার্তা এবং অ্যাপস এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে।

সিটি ব্যাংকের এই ডিজিটাল ঋণ গ্রহণকারীরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন কিনা, তা মূল্যায়িত হবে। পরবর্তীতে যেকোন ধরনের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেই এই মূল্যায়ন বিবেচিত হবে। কোন গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিধিবিধান অনুসরণে সিটি ব্যাংক ঋণ খেলাপির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে।

প্রকল্পটির বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, আমাদের দেশে অনেকেরই বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হঠাৎ অর্থের প্রয়োজন হয়। সেটি কীভাবে আরো সহজে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় এবং তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারেন, এটি মাথায় রেখেই এই ডিজিটাল ঋণের যাত্রা।

উদ্যোগটি সম্পর্কে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, প্রান্তিক সহ সকল শ্রেণির মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন এবং আর্থিক অর্ন্তভুক্তিতে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে বিকাশের মত কার্যকর ডিজিটাল আর্থিক প্ল্যাটফর্ম ও বিশাল গ্রাহক ভিত্তিকে ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সৃজনশীল নতুন নতুন সেবা প্রচলন করতে পারে। সিটি ব্যাংকের এই ডিজিটাল ঋণ প্রকল্প তারই একটি উদাহরণ। জরুরি মুহূর্তে তাৎক্ষণিক জামানতবিহীন এই ঋণ প্রান্তিক মানুষ, তরুণ সমাজ, প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য আর্শীবাদ হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print