শুক্রবার, ১৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ১৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ১৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

ভোট দিতে গিয়ে কেউ করোনায় মারা গেলে দায় নিবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি

প্রভাতী ডেস্ক : জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সংবিধানে বাধ্যবাধকতা থাকায় করোনা ও বন্যা মাথায় নিয়েই নির্বাচন করতে হচ্ছে। ভোটাররা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দিতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এই করোনাকালে ভোট দিতে গিয়ে কোনো ভোটার যদি করোনায় অসুস্থ হয়ে মারা যান তার দায়ভার নির্বাচন কমিশন নেবে না।

শনিবার(১১ই জুলাই) বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

করোনাকালে কয়েকটি দেশের নির্বাচন সম্পর্কে উদাহরণ দিয়ে সিইসি বলেন, করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও ইতালি, ফ্রান্স, উগান্ডা এবং আমেরিকার একটি রাজ্যে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। আরো কয়েকটি দেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে তফসিল নতুন করে পুনরায় ঘোষণা করা না গেলে বিএনপির ব্যালট থেকে নাম ও প্রতীক বাদ দেয়ার, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ দুটো দাবির কোনটাই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এ দাবি মানতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদের অধিবেশনে এক তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবে, এ মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। কারন আসন শূন্য হওয়ার পর নির্বাচনের সর্বশেষ সময় ১৫ জুলাই পর্যন্ত ৯০ দিন পূর্ণ হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন-নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন (অব:), জেলা প্রশসানক মো. জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুব আলম শাহ্।

সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করা ছাড়াও আইনশৃংখলা বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন বিষয়ে যশোরেও মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে বগুড়ায় আসেন।

প্রসঙ্গত, বগুড়া-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আব্দুল মান্নান ১৮ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়ে যায়। পরে শূন্য আসনটিতে নির্বাচনের জন্য ২৯ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচনের ১০ দিন আগে করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। স্থগিত হয়ে যাওয়া উপ-নির্বাচনের তারিখ ১৪ জুলাই পুনঃ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন ৪ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আছেন প্রয়াত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান ও বিএনপির এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির।

এছাড়া অপর প্রার্থীরা হলেন-জাতীয় পার্টির অধ্যক্ষ মোকছেদুল আলম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ। বিএনপি প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোয় প্রার্থী থাকলেন ৫ জন। ওই ৫ প্রার্থীই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯২ জন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print