
প্রভাতী ডেস্ক : অনেক প্রতীক্ষার পর করোনাকালীন সাধারণ ছুটি শেষ হচ্ছে ৩০শে মে। পরদিন থেকে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত অফিস খুলছে।তবে ১৫ই জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে করতে হবে। এই সময়ে সীমিত আকারে চলবে গণপরিবহন। বাস, লঞ্চের সঙ্গে চলবে আন্তঃনগর ট্রেনও।
বৃহস্পতিবার(২৮শে মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে বয়স্ক ও গর্ভবতী মহিলারা অফিসে যাবেন না। স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যোগ দিতে হবে।
অফিস চালুর পাশাপাশি ৩১ মে থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলেরও অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩১শে মে থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত গণপরিবহনগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, ‘উক্ত সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারে। তবে সব অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, বিমান কর্তৃপক্ষ ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করবে। বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেয়া কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের অফিস-আদালত। তখন থেকে গণপরিবহণও বন্ধ রয়েছে। ঘরবন্দি থাকার এই সময়ে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিলের পর যখন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে সবচেয়ে বেশি, তখন ঈদ কাটিয়ে অফিস ও গণপরিবহন চালু হতে যাচ্ছে ৩১ মে থেকে।
প্রসঙ্গত, ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় দেশে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২ হাজার ২৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। একদিনে এটি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। এ নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৩৭১ জনে।