মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

আবারো পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে গেল সেই ‘বিধ্বংসী’ গ্রহাণু

প্রভাতী ডেস্ক : প্রায় দুই কিলোমিটার চওড়া পাথরখণ্ডটি কোনোমতে পৃথিবীকে স্প’র্শ করলেই গোটা মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারত বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জানা যায়, বুধবার(২৯ এপ্রিল) সকালে পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৩ লাখ কিলোমিটার (৩৯ লাখ মাইল) দূর দিয়ে চলে গেছে বিশাল গ্রহাণুটি। এই গ্রহাণুর আকার মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় অর্ধেক। নিরাপদ দূরত্বে থাকায় পৃথিবীতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবুও ঘটনার সময় মহাকাশে সতর্ক নজর রেখেছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

১৯৯৮ সালে নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি প্রথমবারের মতো গ্রহাণুটি খুঁজে পাওয়ায় এর নাম দেয়া হয় ১৯৯৮ ওআর২। সম্প্রতি অবজারভেটরিতে ধরা পড়া এর একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে গ্রহাণুটি দেখতে অনেকটা মাস্কের মতো মনে হচ্ছে।

মহাকাশবিদরা জানিয়েছেন, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই গ্রহাণুটিকে এমন দেখা গেছে। প্রকৃতপক্ষে সেটি অসংখ্য পাহাড়-পর্বতে ভরা। এ জন্যই তার এমন চেহারা তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্তত ২০৭৯ সাল পর্যন্ত গ্রহাণুটি নিয়ে মানুষের চিন্তার কিছু নেই। কারণ, এর আগে সেটি আর পৃথিবীর ধারেকাছে ঘেঁষবে না। আর ২০৭৯ সালের দিকে আসলেও পৃথিবী থেকে চাঁদের প্রায় চারগুণ দূরত্ব দিয়ে চলে যাবে সেটি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল আরেকটি গ্রহাণু। এতে রক্ষা পেয়েছিল পৃথিবী, এমনটাই জানিয়েছিল নাসা।

এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পৃথিবী থেকে ৫.৭৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে চলে গিয়েছে ওই গ্রহাণুটি ফলে বিপদ হয়নি।

এদিকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু আকারে যেকোনো ইমারতের থেকেও বিশাল বড়। এই ‘ক্ষতিকারক’ গ্রহাণু পৃথিবীর স্থলভাগে আঘাত হানলে পুরো একটা মহাদেশ ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এটি চওড়ায় ছিলো ১ কিলোমিটার। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিলো ৫৪,৭১৭ কিলোমিটার।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print