রবিবার, ১৬ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৬ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৬ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রমজান ১৪৪৬ হিজরি

হাজারো সচেতনতার পরেও যে একটি ভুলে কপাল পুড়ল ইতালির !

প্রভাতী ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে উদ্যোগ নিয়েও আজ একটি ভুলের মাসুল গুনছে ইতালি। গত জানুয়ারি মাসে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকের ঘটনাগুলো ইতালি সফলভাবে মোকাবেলা করেছিল। সে সময় রোগীরাও কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছিল।

কিন্তু দেশটির মিলান থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের কডোনো শহরের করোনা সংক্রমিত এক বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তির পর পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে করোনাভাইরাস ওই হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

সেখান থেকেই পুরো ইতালিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে এবং মহামারির আকার ধারণ করেছে। ইতালির বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ স্থগিত করার আগে থেকেই চীন বা করোনা আক্রান্ত অন্য যেকোনো দেশ থেকে কেউ এলে তাদের ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার এবং চিকিৎসাকর্মীদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।ইস্তাম্বুলের টুয়েন্টিনাইট মেইজ
ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মিকেলাঞ্জেলে গুইদা তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলুকে বলেছেন, করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই প্রথম চীনের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ইতালির বিমান বন্দরগুলোতেই সে সময় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘থার্মাল ক্যামেরা’ বসানো হয়।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কোন্তে দাবি
করেছিলেন, করোনা প্রতিরোধে ইতালির নেওয়া ব্যবস্থা পুরো ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। চীনের হুবেই প্রদেশের দু’জন পর্যটক গত ২৩ জানুয়ারি ইতালির মিলান বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশের কিছুদিন পরই রোমে গিয়ে অসুস্থ হন। তাঁদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ইতালিতে ফেরেন এক ইতালীয় নাগরিক। দৃশ্যত ওই ৩ জনই ইতালির প্রথম করোনা রোগী।

করোনাভাইরাসে ইতালিতে প্রথম মৃত্যু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print