নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ২৭৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে অযোগ্য, শিবিরকর্মী,ব্যবসায়ী, বিবাহিত এবং অছাত্ররা পদ পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও মেধাবীরা একেবারে মূল্যায়িত হন নি তা কিন্তু নয়।
উক্ত কমিটিতে সহ- সম্পাদক পদ পাওয়া এমনই একজন মেধাবী, সৎ, পরিশ্রমী এবং ত্যাগী ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হোছাইন সিকদার। তিনি চট্টগ্রামের ছাত্রলীগের সূতিকাগার খ্যাত ওমরগনি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্র। তিনি সাতকানিয়ার মাদার্শা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত আবুল হোছাইন সিকদার এবং রাজিয়া বেগম সিকদারের ছেলে।
৮ম শ্রেণী থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচীতে নিয়মিত সরব উপস্থিত থাকেন। দলের জন্য নিজেকে উৎস্বর্গ করেছেন। কখনো কোন ধরণের দলীয় শৃঙ্খলাপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত হন নি।
সাজ্জাদের গ্রাম এবং কলেজসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা যায়, তিনি অত্যান্ত মেধাবী, সৎ, ভদ্র, বিনয়ী এবং পরোপকারী। কারো দুঃখ -দূর্দশা দেখে তিনি কখনো নীরব থাকতে পারেন না, মানুষের বিপদে সবার আগে ছুটে যান। কারো উপকার করে তিনি কখনো কোন বিনিময় আশা করেন না। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের একজন নেতা হওয়ার পরেও তাকে কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখা যায় নি।
এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ লাভ করায় সাজ্জাদের অনূভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংগঠন তাকে ত্যাগের মূল্যায়ন করেছে সেজন্য তিনি নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞ। নেতৃবৃন্দ তার উপর যেই আস্থা রেখেছেন সেই আস্থা ধরে রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে জানান। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্মে জড়িত তাদের প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান সাজ্জাদ।
উল্লেখ্য, ৪ঠা মার্চ (বুধবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।