রবিবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২৩ লাখ টাকা আদায়: ২ ওসিসহ আসামি ৭!

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা হয়েছে। ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা আদায়ের কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগমকে আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য  নির্দেশ দেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিন। নগরের পলিটেকনিক এলাকায় তাঁর রড, সিমেন্টের দোকান রয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন বায়েজীদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার, চান্দগাঁও থানার ওসি খন্দকার আতাউর রহমান (বায়েজীদ থানার সাবেক ওসি), বায়েজীদ থানার উপ পরিদর্শক মো. আফতাব, সহকারী উপপরিদর্শক মো. ইব্রাহীম, মিঠুন নাথ, কনস্টেবল মো. রহমান ও সাইফুল।

বাদীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগমকে নির্দেশ দেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী ইয়াছিনকে পলিটেকনিক এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় বায়েজীদ বোস্তামী থানা-পুলিশ। পরে তাকে থানায় আটকে রেখে ‘ক্রসফায়ারের’ হুমকি দিয়ে দাবি করা হয় ২০ লাখ টাকা। নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ীর পরিবার পরিচিতজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে বায়েজীদ বোস্তামী থানা-পুলিশের হাতে ১১ লাখ টাকা তুলে দেন। পরে তাঁকে থানা থেকে ছাড়া হয়। এই ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। সাদা কাগজে নেওয়া হয় সই। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে প্রাণে বাঁচতে এই ঘটনা কাউকে জানানো হয়নি।

সর্বশেষ ৪ঠা ফেব্রুয়ারি নগরের শেরশাহ এলাকা থেকে বায়েজীদ বোস্তামী থানা-পুলিশ তাঁকে আবার ধরে নিয়ে যায়। ২য় বার থানার ভেতর না ঢুকিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকাসহ নির্জন কয়েকটি স্থানে ঘুরায়। সেখানে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। দাবি করা হয় ৫০ লাখ টাকা। বাধ্য হয়ে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে ১২ লাখ টাকা তুলে দেয়া হয়। টাকা পাওয়ার পর নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে ইয়াছিনকে নামিয়ে দেয়।

ইয়াছিন বলেন পুলিশ ক্ষতি করতে পারে এজন্য ভয়ে প্রথমবারের ঘটনা কাউকে বলেননি বলে জানান ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিন। তবে তারা আবার দাবী করলে টাকা কোথা থেকে দেবেন এটা ভেবে তিনি আদালতের আশ্রয় নেন। থানার সিসি ক্যামেরা দেখলে সব প্রমাণ পাওয়া যাবে। যাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে পুলিশকে দিয়েছেন তারাও সবাই সাক্ষ্য দেবেন।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইয়াছিন নামের কোনো ব্যক্তিকে চেনেন না উল্লেখ করে বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print