চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (আইআইইউসি) সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যায়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল (অব:) মো. কাশেম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. দোলোয়ার হোসাইন, ড. রিয়াজ মাহমুদ, প্রক্টর মুস্তফা মুনীর উদ্দিন, প্রফেসর মুহম্মদ নাজমুল হক নদভী ও মোস্তাক খোন্দকার।
লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার কর্নেল (অব:) মো. কাশেম বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বহুল নন্দিত এবং সফল উদ্যোগের নাম। যা জাতির জন্য ব্যাপক কল্যাণ বয়ে আনে। সেশনজট, অপরাজনীতি ও অপতৎপরতামুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রদানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সারাদেশে একটি বিপ্লব সাধন করেছে। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ বিপ্লবের প্রথম সারির অংশীদার। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ শত বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যে গ্রাজুয়েটদের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন ৩৫০ জন শিক্ষকসহ প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক আছে। এর মধ্যে ১০১ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী।
তিনি আরো বলেন, বিগত ২৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটিকে কখনো সেশনজটের শিকার হতে হয়নি। এমনকি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত ২৭ জানুয়ারি হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করে এবং তারা ক্লাস ছেড়ে এর প্রতিবাদে যোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারি এক জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো এবং শ্রেণি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে অন্যায্য দাবি আদায়ে চাপ দিতে থাকে। একইসাথে তারা অনৈতিকভাবে আইন নিজের হাতে তোলে নেওয়া, অসৌজন্যমূলক আচরণ, প্রকাশ্যে দিবালোকে শিক্ষকদের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম নির্যাতন, শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেনস্তা, হুমকি, অফিস কক্ষ ভাংচুর এবং শিক্ষকদের বাসভবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ডাইনিং টেবিলে ফ্রি খাওয়া, ডাইনিং ম্যানেজারের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা ছিনতাই, হলে রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ অবস্থানসহ বহিরাগতদের আশ্রয় দেয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।–বিজ্ঞপ্তি