শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রজব ১৪৪৬ হিজরি

আড়ংয়ের বনানী শাখার ট্রায়াল রুমে গোপন ভিডিও : দোষ স্বীকার সজীবের

প্রভাতী ডেস্ক: আড়ংয়ের বনানী শাখার কর্মচারী চেঞ্জরুমে গোপনে ভিডিও করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সিরাজুল ইসলাম সজীব নামে ওই যুবক আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সজীব আড়ংয়ের বনানী শাখার সাবেক কর্মী।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) একদিনের রিমান্ড শেষে সজীবকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তার বিরুদ্ধে সিটিটিসির এসআই ফারুক হোসেন ২৫ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিনই সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সজীবের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৬ জানুয়ারি ভূক্তভোগী ওই তরুণী বনানী থানায় সজীবের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন এবং সাইবার সিকিউরিটি অ‌্যান্ড ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গত ১১ জানুয়ারি সজীব পোশাক পরিবর্তনের একটি ভিডিও তাকে প্রেরণ করে। পরে সজীব ওই তরুণীকে তার শরীর দেখাতে বলে, বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেলিং করে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে বলে এবং তা না করলে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

তরুণীর অভিযোগের পর সাইবার সিকিউরিটি অ‌্যান্ড ক্রাইম বিভাগ ২৫ জানুয়ারি অভিযানে নামে। কাফরুল থানাধীন পূর্ব শেওড়াপাড়ায় মনিপুর স্কুলের সামনে থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত বছর আড়ং এ কর্মরত থাকা অবস্থায় বনানী আড়ংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মচারী চেঞ্জরুমের বাইরের সানসেটে দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে। আড়ংয়ের নারী কর্মচারীদের অজান্তে ইউনিফর্ম পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করতো সে।

তার মোবাইলে ধারণ করা এমন ভিডিও’র বিষয়ে সে জানায়, পোশাক পরিবর্তনের ভিডিওগুলো পাঁচ তরুণীসহ বনানী আড়ংয়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন নারী কর্মচারীর। যা তিনি গত বছর ডিসেম্বরে চাকরিচ্যুত হওয়ার আগে একই কায়দায় ধারণ এবং সংরক্ষণ করেন।

কর্মকর্তারা আরো জানায়, গত বছর এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার দায়ে ডিসেম্বরে সজীবকে চাকরিচ্যুত করে আড়ং। কিন্তু নিজেদের ব্র্যান্ড রেপুটেশন নষ্ট হওয়ার ভয়ে এ বিষয়ে ‘আড়ং’ পুলিশে কোনো অভিযোগ করেনি। শুধুমাত্র তাকে চাকরিচ্যুত করে দায়িত্ব সারে আড়ং।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print