বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট, সমাজসেবক, দানবীর,সংগঠক, ব্যবসায়ী পরোপকারী এবং তারুণ্যের প্রতীক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেলের শুভ জন্মদিন আজ ২৩ জানুয়ারি। বাংলাদেশ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নয় একটি প্রতিষ্ঠান! যার নাম, জশ ও খ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিও জয় করেছে! চট্টগ্রামে সমাজসেবায় সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল। যার মানবিক কর্মকান্ড তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শ হয়ে আছে!
নব্বই এর দশক থেকেই তিনি লেখক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। ২০০০সালের পরবর্তী সময়ে দেশের প্রায় সব পত্রিকায় চোখ রাখলেই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেলের লেখা চোখে পড়তো! ১৯৯৬ সালে কবিতার বই দিয়ে লিখা-লেখির জগতে প্রবেশ করলেও বর্তমানে তিনি একজন লেখক ও কলামিস্ট হিসাবে অতি সুপরিচিত ! আমরা অনেকেই মনে করি একজন লেখক,একজন সংগঠক মানে সুঠাম দেহের অধিকারী এমন কেউ একজন। নাহ সেটা ভুল, একজন মানুষ সত্যিকারের বড় হয় তার মেধা ও মননে। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত আজকের নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল। তিনি একজন লেখক, একজন সংগঠক এবং একজন মানবিক মানুষ।
আজকের সমাজে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল।
এ্যানেল রাউজানের কদলপুল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর শৈশবকাল অতিবাহিত হয়েছে সাতকানিয়ায়। এই শিক্ষানূরাগী অনেক শিক্ষাও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য এবং উপদেষ্টা। প্রতিদিন তার পরিচালিত রেস্টুরেন্টে অনেক অনাহারী মানুষের মুখে অন্ন জুটে। গবিবের বন্ধু হিসেবেও তার অনেক খ্যাতি রয়েছে। বর্ষার জলাবদ্ধতায় কর্মহীন মানুষের জন্য খাবার নিয়ে কোমর সমান পানি ডিঙিয়ে যেতেও তিনি দ্বিধা করেন না। তিনি তার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় ঝাপিয়ে পড়েন।
ঢাক ঢোল পিটিয়ে কখনো কোন কিছু করার আগ্রহ তার মাঝে দেখা যায় না। রাতের অন্ধকারে কাঁধে কম্বল নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে এই নগরে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেন। তিনি চট্টগ্রামের অনেক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। নানা ভাবে তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক বছর ধরে। তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বহুকাল ধরে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের সেবায়। বিশেষ করে সমাজের অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের জন্য তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। সাংগঠনিকভাবে তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে ও সমানভাবে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে একজন সফল সংগঠক বলা যায়। তিনি সক্ষম হয়েছেন দেশের বাইরেও উক্ত সংগঠনের শাখা করতে। দেশজুড়ে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মানবিক কার্যক্রম চলমান আছে কেবল তার নিজস্ব অর্থায়নে। অতি সম্প্রতি তিনি দুবাই সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। তার সাথে দেখা করতে গেলেই আপ্যায়নের কোন ত্রুটি রাখে না। দুবাই সফরে তাকে সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের বিভিন্ন সংগঠন সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করেন। একজন পরিচিতজন, স্বজন হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বেরও। পরিচিতজন বা স্বজন বলে নয়, তার সাথে যে কেউ সাক্ষাত করতে গেলে সহজে আপ্যায়িত না হয়ে আসতে পারেনা।
রাজনীতি ও প্রচার বিমুখ এ মানুষটি সংগঠন এবং সংস্কৃতি প্রিয়। তার বড় শখ পৃথিবীকে জানা। প্রচুর ব্যস্ততার মাঝেও মানবিক কাজে তিনি সবার আগে থাকেন,গুণী এই মানুষের জন্মদিনে অকৃত্রিম শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।