প্রভাতী ডেস্ক: দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত দেড় বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ১১ ডিসেম্বর বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টটি সুপ্রিমকোর্টে পাঠানো হয়।বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। ওই দিন খালেদা জিয়ার আরো কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে বলে আদালতকে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের চিকিৎসকেরা, এজন্য সময় প্রার্থনা করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই দিনই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি করা হবে বলে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।
৫ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, খালেদা জিয়ার আরো কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এজন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে এ মামলার শুনানির সময় গত ২৮ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তার বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ডকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ওই দিনই আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন আদালত। সেই পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়। সেদিন স্বাস্থ্য প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষ দাখিল করতে না পারায় ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে দেন আদালত।