রবিবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

লাশ নিয়ে নাটোরের সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের অমানবিকতা

প্রভাতী ডেস্ক: অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মরদেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে বাঁশ দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে দুই যুবক। এ সময় মরদেহটির পা মাটি ছুঁয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার সকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর বাঙ্গাল রেলওয়ে ব্রিজের নিচ থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ। এর পরই অজ্ঞাত পরিচয়ে ওই যুবকের মরদেহ বহনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

মরদেহের প্রতি এমন অসম্মানজনক ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রেলওয়ে পুলিশের কাণ্ডজ্ঞান এবং মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সাধারণত মরদেহ বহনের সময় কফিন ব্যাগ ব্যবহার করে পুলিশ। সেই ব্যাগে করেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ বহনের এ উল্টোচিত্র দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে।

নাইম পারভেজ অপু নামে এক ব্যক্তি ছবিটা তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে লিখেছেন, “ছবিটা দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। এর বিচার চাই।”

সালেহীন বিপ্লব নামে একজন পোস্ট করেন, “মরদেহের প্রতি এমন অসম্মান দেখে মানুষের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এটি কাম্য নয়।” বাসুদেবপুর বাঙ্গাল রেলওয়ে ব্রিজের নিচ থেকে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু একটা মৃতদেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে এভাবে ঝুলিয়ে বহণ করায় সাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের এসআই বিশ্বনাথ কুমার বলেন, জনবল না থাকার কারণে স্থানীয় দুই যুবককে দিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে অবশ্যই কফিন ব্যাগে মরদেহ ভরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নলডাঙ্গা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, সকালে স্টেশনের ২৩৬ নম্বর ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সান্তাহার জিআরপি পুলিশে খবর দেয়। জিআরপি থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সদর মর্গে পাঠায়। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print