
সানজিয়া শাবনাম: বিয়ের পর বাসর রাতটিই কিন্তু নবদম্পতির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। আর এই বিশেষ রাতটিকে ঘিরে অধিকাংশ মানুষ অনেক রকমের স্বপ্ন বুনে।
স্বপ্ন বুনে, একে অপরকে ভালোবাসবে দেহ মন উজাড় করে। কিন্তু যত সহজে বা আবেগ নিয়েই চিন্তা করেন না কেন, এর অনেক বিষয় আছে যা জানলে রক্ত হিম করে দেবে।ব্রিটেনের মেডএক্সপ্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়, বিয়ের রাতে সেক্স বিষয়ে দারুণ দুশ্চিন্তায় থাকেন সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী।
৫৭ শতাংশ নারী বিয়ের রাতে যৌনকর্মে হতাশাজনক অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। যদি প্রত্যেক নারী-পুরুষের বিয়ের রাতের যৌনতা সত্যিকার অর্থেই দুশ্চিন্তা ও হতাশার কারণ হয়ে থাকে, তবে একেবারে সঠিক পরামর্শটিই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর একটিই সমাধান। বিয়ের রাতে সেক্স না করাটাই সবচেয়ে ভালো। বাসর রাতের অপরিসীম আবেগ-অনুভূতিতে ভেসে যান। ফুলের বিছানা, জীবনসঙ্গীকে কাছে পাওয়া, একটা রোমান্টিক রাতের উষ্ণতা সবই উপভোগ করুন। এগুলো আজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। কিন্তু এ রাতে সেক্স থেকে দূরে থাকুন।
দুজনের জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাকর এবং আনন্দময় একটি রাত। সত্যিকার অর্থেই, নববধূ-বর তাদের আবেগের চরম পর্যায়ে বিচরণ করেন। জরিপের ৫ শতাংশ পুরুষ জানান, বিয়ের রাতে বউয়ের কান্না থামাতেই বেশির ভাগ সময় কেটে গেছে।
এমনিতেই বিয়ের গোটা দিনটি দারুণ পেরেশানিতে কাটে। আয়োজন, সামাজিকতা রক্ষা করা ইত্যাদি কাজেই স্বামী -স্ত্রী যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এরপর সেক্সের মতো শক্তিক্ষয়ের কাজটি করতে বিরক্তই লাগার কথা। স্বামী-স্ত্রী সেটা সুস্থ মস্তিষ্কে যদি চিন্তা করে নিতে পারেন তবে রাতটি দারুণ আরামদায়ক ও উপভোগ্য হতে পারে।
অগ্রজদের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে এ ধারণা ঢুকে যে, বিয়ের রাত মানেই স্বামী-স্ত্রীর সেক্স। আবার এই কাজের মাধ্যমেই বিয়ের বিষয়টা দুজনের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা পায়। তবে ব্যতিক্রমী বিষয়টা হলো, বিয়ের রাতে সেক্স না করার বিষয়টিও যুগ যুগ ধরে সমর্থন পেয়ে আসছে। ঘরে প্রবেশ করেই দরজা-জানলা বন্ধ করে দেয়া বা পর্দা সরিয়ে যৌন কর্মের প্রস্তুতি নেয়ার মাধ্যমে এত সুন্দর রাতটাকে নষ্ট করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই এই রাতে একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আলাপ এবং বুঝাপড়া করুন। স্ত্রীকে ভালবাসুন, জীবনকে উপভোগ করুন।