নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খতীবেরহাট এলাকার হাদু মাঝি পাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমজাদ (২৮) নামে এক যুবকের দুই পা ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ জালাল, মিল্লাত, দিদার গং এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় আমজাদের বাবা মোহাম্মদ আজিম (৫০) ও তার ছোট ভাই মো. আরাফাত(২২) আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আমজাদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আমজাদ হোসেনের খালাতো ভাই নাসির উদ্দিন বলেন তার খালু আজাদের একটি মুরগীর দোকান রয়েছে হাদু মাঝি পাড়ায়। আমজাদ এক কিলোমিটার এলাকার একটি ওয়ার্কশপে কাজ করে। সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে মুরগীর দোকান থেকে চাঁদা দাবী করে আসছিল। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের অন্য সদস্যদের রেখে একা সিএনজি অটোরিকশা করে বাসায় ফিরে আসছিলেন মো. আমজাদ। শমসের পাড়া রেলগেইট এলাকায় পৌঁছালে সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে তাকে টেনে-হেঁচড়ে নামিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তার বাবাকে ফোন করে টাকা নিয়ে আসতে বলে সন্ত্রাসীরা। টাকা না আনায় বাবার সামনে ছেলে আমজাদকে জালাল, মিল্লাত, রাশেদ, মিশন, দিদারসহ আরো বেশ কয়েকজন বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে তারা তার দুই পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে দেন। এসময় তার বাবা–ভাইকেও মারধর করা হয়। হামলাকারীরা যুবলীগ নেতা এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসরারুল হক বলেন, দিবারাত্রির ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। আমজাদরা পাঁচলাইশ এলাকা থেকে এসে স্থানীয় কয়েকজনকে মারধর করলে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান। ড্রিল মেশিন দিয়ে আঘাত করার কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ আমির বলেন, আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাবা ও দুই ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তারা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তবে ক্রিকেট খেলা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।