নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশন’র ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও স্থাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ৯ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দে রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত হয়।
বর্ণাঢ্য এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব ফরিদ মাহমুদ। স্বাস্থ্য সেবায় বর্তমান সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি দেশের সব মানুষ এখন স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার আমূল পরিবর্তন এসেছে দেশে। শহরের মানুষ যেভাবে স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলোও সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, যক্ষা-হাম-এইডসসহ নানা সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস পেয়েছে। ডিগ্রী ধারী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তেমনি এই অগ্রগতির পেছনে ডিপ্লোমাধারী প্রাথমিক চিকিৎসকদেরও যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে।এছাড়া পৃথিবীর কোন দেশে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে চলমান কর্মসংস্থান বন্ধ করার নিয়ম নেই। কারণ ব্যক্তির কর্মসংস্থানের উপর নির্ভর করে মান-সম্মান ও জীবন-জীবিকা।
তাই দেশের দুই লক্ষের অধিক প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসকদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান পূর্বক প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসকের স্বীকৃতি প্রদান এখন সময়ের দাবী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজয় ‘৭১ এর সভাপতি নাট্যকার সজল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোঃ আবদুর রহিম, ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক স.ম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সেন এবং চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ মুক্তাদের আজাদ খান।
বক্তারা আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিহার্য। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নেও চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের ধারে ধারে পৌঁছে দিতে প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ও উন্নত জাতি গঠনে যেমন ভূমিকা রয়েছে তদ্রুপ ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সর্বোপরি বক্তারা সকলকে মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং সু-স্বাস্থ্য নির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ও সংগঠক এ.কে.এম আবু ইউসুফ, লায়ন ডাঃ আর.কে রুবেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, রতন দাশ গুপ্ত,কবি সজল দাশ, মিনহাজ উদ্দীন, নাছির উদ্দীন , সাজিব বড়ুয়া সাজু, মনির আজাদ,শামীম আহসান, কানু দাশ, জয়া ভট্টচার্য,মিলন বারিকদার, নুরুল ইসলাম, অজিৎ চন্দ্র দে সুজন, বিপ্লব ভট্টাচার্য, হারুন অর রশীদ,অনিল বড়ুয়া অনিল,শামীম হোসেন,সাইফুল আলম, সুশান্ত নাথ, সমীরণ পাল, ইমরান সোহেল,নুর মোহাম্মদ, এন আলম, অহিদুল আলম, দুলাল মিয়া প্রমুখ।