প্রভাতী ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের মধ্যে ৫৪৩ জন নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।
বুধবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি জানান, মনোনয়ন বাতিলের পর ৩ দিনের মধ্যে আপিল করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ ডিসেম্বর ৮৪ জন, ৪ ডিসেম্বর ২৩৭ জন এবং ৫ ডিসেম্বর ২২২ জন আপিল করেছেন।
আগামী তিন দিনের মধ্যে সব আপিল নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব।
নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় ৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ১ থেকে ১৬০ নম্বর আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে। ৭ ডিসেম্বর ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর এবং ৮ ডিসেম্বর ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে। নিষ্পত্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
নিষ্পত্তির ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, ইতিমধ্যে এজলাস কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানি করবেন। শুনানি শেষে তাৎক্ষণিকভাবে রায় জানিয়ে দেওয়া হবে। কারো আবেদন নাকচ হলে রায়ের নকল কপি আমরা দিয়ে দেব।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল বিবেচনায় নয়, ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী আপিল আবেদেনের শুনানি করা হবে। কোন দলের কতটি আবেদন পড়েছে, তা বাছাই করা হয়নি। আমার এই তিন দিন কেবল গ্রহণ করেছি। আগামীকাল বলতে পারব- কয়টা বাতিল, কয়টা আপিল করা হয়েছে।
দুই দিনের মধ্যে আপিল আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তাদের বুঝিয়ে বলেছি, তারা মেনে নিয়েছে যে, দুই দিনে সম্ভব নয়।
কেননা, শুনানি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাৎক্ষণিক রায় দেওয়া, দুই দিনে সম্ভব নয়। তাই তিন দিনেই করতে হবে।
ইসি সচিব বলে, যতক্ষণ শুনানি শেষ না হবে, ততক্ষণ চলবে। সকাল ১০টা থেকে মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে যতক্ষণ লাগে, শেষ করতেই হবে।
জামায়াতের নিবন্ধন না থাকার সত্বেও দলটির প্রার্থিতা নিয়ে ইসি সচিব বলেন, দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। প্রতীক নিয়ে তারা কিন্তু করতে পারবে না। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ইসির কিছু করণীয় আছে বলে মনে হয় না।