প্রভাতী ডেস্ক: বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে দেশে এই প্রথম বারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য লটারির মাধ্যমে ছয়টি আসন ঠিক হয়েছে। লটারি অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। এই ছয় আসনের ৮০০টি কেন্দ্রের প্রায় ৪ হাজার ২৬৭টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোট হবে। আর ছয় আসনে ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন ভোটার সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেবেন। প্রাথমিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের যোগ্য বিবেচিত ৪৮টি আসনের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এ ছয়টি আসন চূড়ান্ত করার পর তা ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এ সময় সিইসি কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
যেভাবে ভোট দিতে হবে ইভিএম এ:
এ যন্ত্রে আঙ্গুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার শনাক্ত করা হয়। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন পোলিং অফিসার ভোটার ভেরিফিকেশনের কাজটি করেন। ডেটাবেইজে ভোটার বৈধ বা অবৈধ হিসেবে শনাক্ত হলে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তা দেখতে পান পোলিং এজেন্টরা। ভোটার বৈধ হলে মেশিনে কুইক রেসপন্স কোড (QR CODE) এবং কিছু তথ্য সংবলিত একটি টোকেন প্রিন্ট হবে, যা ভোটারকে দেওয়া হয়। ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে গেলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে তার টোকেন শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে। ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাঁ দিকের বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন। ওই ব্যালট ইউনিটে সবুজ রঙের CONFIRM বোতামে চাপ দিলে তার ভোট দেওয়া হয়ে যাবে। কখনো ভুল প্রতীক সিলেক্ট করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রঙের CANCEL বোতাম চেপে পরে যে কোনো প্রার্থীকে আবার সিলেক্ট করা যাবে। এভাবে দুই বার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি সিলেক্ট করা হবে সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।