আওয়ামীলীগ নেত্রীর মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক নানা কর্মকান্ডের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা। ১৪ আগষ্ট পূর্ববর্তী ভিডিও এডিট করে সাম্প্রতিক ঘটনা সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নেত্রীর পক্ষ হয়ে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। এতে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও দলীয় ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে দাবি বাদশার। শুক্রবার(১ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, জামানা খাতুন গং থেকে আমি একটি জমি আমমোক্তারনামা মূলে নিই। আমার দখলে থাকা সেই জায়গা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী জোরপূর্বক দেখলে নেয়। স্বৈরশাসকের প্রভাব বিস্তারকারী এই নেত্রী তখন ফেসবুক লাইভে এসে আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াটা অপপ্রচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালাতে থাকে। আমি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পরে মিথ্যা অপপ্রচারে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করি।
তিনি বলেন, আদালতের স্থিতিবস্থা বজায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী গত ৭ জুন শুক্রবার দুপুর ১টায় আমার তফসিলভুক্ত জায়গা দখলে নেয়। খবর পেয়ে আমি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে ওই মহিলা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তখন ওই মহিলা আমার সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এই সময় তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এসব ভিডিও করে। পরে সেটা এডিট করে, ডাবিং করে ভয়েস যুক্ত করে নিউজ অব চকবাজার নামে ভূয়া আইডিতে আপলোড করে। সেখানে আমি মহিলাটিকে মারধর করছি বলে প্রচার করে। শুধু তাই নয়, জুনের সেই ঘটনাকে অক্টোবরের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শের সৈনিক হওয়ার কারণে মিথ্যা মামলা, হামলা, হয়রানি, অনাচার থেকে শুরু করে বিগত স্বৈরশাসকের আমলে এমন কোনো অত্যাচার নেই যেটা আমার উপর চালানো হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ৫৮টি মামলা দেয়া হয়েছে। বারংবার জেলে যেতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও জেল কেটেছে। এতো অত্যাচারের পরও আদর্শিকভাবে জিয়া পরিবারের রাজনীতিকে আকড়ে ধরে বেঁচে আছি। শহীদ জিয়ার আদর্শের বিচ্যুতি কখনো ঘটেনি।
সাদিয়া মকসুদ চৌধুরীকে ব্যবহার করে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে একটি চক্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে অপপ্রচার ও তথ্য সন্ত্রাসে লিপ্ত রয়েছে তারা। কোনো ঘটনা না ঘটলেও এডিট করা ভিডিও দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি নাছির উদ্দীন চৌ. নাছিম, সাবেক সহ অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. হাসান, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. সেলিম , মহানগর যুবদল নেতা মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ ,মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাকলিয়া থানা যুবদল নেতা সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চকবাজার থানা যুবদল নেতা সফিউল বশর সাজু বাকলিয়া থানা যুবদল নেতা, মোঃ রায়হান, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ জাহেদ, সিরাজ খান রাজু, মোহাম্মদ জাহেদুল হক , মোঃ রহিম মিনু, মোস্তফা আলম কিশোর, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ ইনজামামুল হক, মোহাম্মদ মিজান, মোহাম্মদ ফরিদ, মোহাম্মদ ইউনুস, মোঃ মিজান মোঃ ওমর শরীফ, মোহাম্মদ নাদিম, মোঃ মহসিন, মোঃ খোকন, মোহাম্মদ জাহেদ, মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ জাবেদ, জাকির এবং ইমন প্রমুখ।