শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

জরিমানা আদায় না হলে জরিমানার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে শাস্তি ৩-৬ মাসের কারাদণ্ড

মানহানিকর তথ্য প্রকাশে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা

মানহানীর ধারায় পূর্বের শাস্তি ছিলো কারাদণ্ড, এখন শুধু জরিমানা করা হয়েছে

ডিজিটাল মাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আর কারাদণ্ডের বিধান থাকছে না। কারাদণ্ড বাতিল করে সেখানে শাস্তি জরিমানা রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো- সাইবার সিকিউরিটির জন্য যেসব ধারাগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল সেই ধারাগুলো এ আইনে অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, এজন্য তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

আইনমন্ত্রী এ ধারার সংশোধনের বিষয়ে বলেন, ‘মানহানির যে ধারাটি ছিল সেখানে আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন সেটা পরিবর্তন করে সাজা জরিমানা রাখা হয়েছে। এখন একমাত্র সাজা জরিমানা। তবে জরিমানা আদায় করা না হলে জরিমানার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে শাস্তি ৩ থেকে ৬ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মূল শাস্তি হবে জরিমানা।’

নতুন আইনে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে বলেও জানান আনিসুল হক।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print