শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

ইসলাম কখনো মিথ্যাচার, অপপ্রচার, গুজব রটানো সমর্থন করে না

‘গাইড-কোচিংয়ের ব্যবসা চলবে না বলে নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা’- শিক্ষামন্ত্রী

এই শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, এটিই চলবে

নতুন শিক্ষাক্রমের ফলে ‘ব্যবসা’ গুটিয়ে নিতে হবে বলে অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, “কারও কোচিং ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কেউ কেউ ভাবছেন- তাদের নোট-গাইডের ব্যবসা চলবে না। এজন্য নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করা হচ্ছে। ভেতর থেকেও বিরোধিতা চলছে, আমরা কিন্তু সেটিও লক্ষ্য রাখছি।”

বৃহস্পতিবার(২৪ মার্চ) বিকালে রাজধানীর শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, “একটা নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে হলে অনেক রকমের কিছু করতে হয়। সেখানে অনেক ঘাটতি থাকতে পারে, অনেক সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু এই শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, এটি চলবে।

“নতুন কারিকুলাম থাকবে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আমাদের শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ জেনে বুঝে শিখে প্রয়োগ করতে শিখে দক্ষ-যোগ্য মানুষ হবে।”

আওয়ামী লীগ কখনও ইসলাম বিরোধী বা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু করেনি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কাজেই এই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যেসব মিথ্যাচার, অপপ্রচার হচ্ছে- সেগুলো মিথ্যাচার, সেগুলো অপপ্রচার। সেগুলো যারা করছে, তারা চূড়ান্ত রকমের ইসলামবিরোধী কাজই করছে।

“কারণ ইসলাম কখনও মিথ্যাচার, অপপ্রচার, গুজব রটানো-এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না। অতএব যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে এগুলো করছেন, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের ভাবতে শেখাকে ‘একটা প্রতিক্রিয়াশীল চক্র’ ভয় পায় উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, “যদি ভাবতে শিখে যায়- দেশের মানুষ, তাহলে তো আর তাদের মগজ ধোলাই করা যাবে না। কাজেই তাদের অনেক ভয়।

“এই কারণে অনেক রকমের বিরোধিতা আছে। কিন্তু ইনশাআল্লাহ আমাদের এই নতুন শিক্ষাক্রম এগিয়ে যাবে, চলবে। আমরা অনেক বেশি বিজ্ঞান প্রযুক্তির উপর যেমন জোর দিচ্ছি, একই সঙ্গে মানবিক সৃজনশীল মানুষ হওয়া জরুরি। সেদিকেও আমরা জোর দিচ্ছি।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন চিন্তা করতে শেখে, যেন সমস্যার সমাধান করতে শিখে। আমি শিক্ষার্থীদের বলব যে, পড়াশোনাটা ভালোভাবে করতেই হবে। মুখস্থ না, শিখে শিখে আত্মস্থ করে এবং সেটা যেন প্রয়োগ করা যায়।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন রিয়াজ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print