দুবাইয়ে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে গিয়ে সমালোচনার মুখে আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম। পুলিশ খুনের মামলার আসামি আরাভ খানের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় প্রয়োজনে হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু হিরো আলম জানিয়েছেন, আরাভ খান সম্পর্কে তার জানা ছিল না। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কিছু জানায়নি। ওই অনুষ্ঠানে তিনি সহ দেশের তারকারা অংশ নেয়ায় বিষয়টি সামনে এসেছে। এ কারণে আরাভ খানের বিষয়টি যাদের কারণে সামনে এসেছে তাদের পুরস্কৃত করা উচিত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম বলেন, অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার আগে ডিবি’র পক্ষ থেকে আমাদেরকে যেতে নিষেধ করলে আমরা দুবাই যেতাম না। তিনি বলেন, গতকাল(১৯ মার্চ) সকাল ৮টার ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসি। গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে ডাকা হয়নি। দুবাই যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আমাদেরকে নিষেধ করার পরেও দুবাই গিয়েছি। এটা ভিত্তিহীন কথা। আমরা অভিযুক্ত আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যাই ১৩ই মার্চ। গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয় ১৪ই মার্চ। ১৫ই মার্চ আমাদের অনুষ্ঠান ছিল। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতদিন কোথায় ছিলেন? আমাদের নিষেধ করলে সে যত বড়ই হন আমরা যেতাম না। গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে আমাদেরকে আগেই ডাকতে পারতেন। বলতেন, তোমরা অনুষ্ঠানে যেও না। সেটা তারা করেননি। কিন্তু গণমাধ্যমে বলছেন, আমাদেরকে গোয়েন্দা পুলিশ যেতে নিষেধ করেছেন। তারা কীভাবে নিষেধ করেছেন। চিঠি, মুঠোফোনে মেসেজ, ই- মেইল কীভাবে আমাদের নিষেধ করেছেন।
এর কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারবেন? কোনোভাবেই আমাদেরকে পুলিশ সতর্ক করেননি। এবং বলেননি।
গত ১ মাস ধরে আরাভ খান তার দোকান উদ্বোধনের প্রচার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে কোন কোন সেলিব্রেটি যাবেন সে বিষয়ে। যেহেতু তিনি একটি মার্ডার কেসের আসামি এই প্রচার কি গোয়েন্দা পুলিশের নজরে তখন পড়েনি? দুবাই আমাদের যেতে নিষেধ করেছেন এসব কথা বলছেন তারা? পুলিশ তো আরাভের সন্ধানই জানতেন না তিনি যে দুবাইতে আছেন। কিংবা তিনিই সেই ব্যক্তি। আমরা দুবাই না গেলে পুলিশ আরাভের সন্ধানই পেতেন না। যদি তাই হতো তাহলে গত ৫ বছরেও তার সন্ধান পেলেন না কেন? আমাকে এবং ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে পুলিশের উচিত পুরস্কৃত করা। কারণ আমাদের জন্য তারা হত্যা মামলার আসামির সন্ধান পেয়েছেন। ডিবি, সিআইডি, পুলিশ যে কেউ ডাকতেই পারেন। তারা ডাকলে যাবো না কেন? আমি তো কোনো খুনের মামলার আসামি না যে, ওখানে যেতে ভয় লাগবে।
হিরো আলম বলেন, নিকেতনে আরাভের একটি অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে অনেকদিন আগে দাওয়াত করা হয়। এরপর তার সঙ্গে একবার দেখা হয়। আরাভ খান অভিনয় জগতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বলে জানি।
আরাভ খান নিয়ে মিশনের ভূমিকা অস্পষ্ট: পুলিশ খুনের মামলার আসামি আরাভ খান বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে দুবাইতে কীভাবে ব্যবসা করছেন- এ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। সর্বশেষ তিনি তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন উপলক্ষে বেশ কিছুদিন থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাংলাদেশি সেলিব্রেটিদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা আগে থেকেই প্রচার করছেন। কিন্তু এই আরাভ খানকে নিয়ে বাংলাদেশ মিশন কোনো তথ্য পেয়েছিল কিনা তা কারও জানা নেই। বলা হচ্ছে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাই থেকে আরাভ খান সাম্প্রতিক সময়েও বাংলাদেশে কয়েক দফা এসেছেন। তিনি দেশে এসে থাকলে কীভাবে এসেছেন তার কোনো বিষয় এখনো বাংলাদেশ মিশন প্রকাশ করেনি। এছাড়া সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েও দূতাবাসের ভূমিকা অস্পষ্ট।