
প্রভাতী ডেস্ক : বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে হারের পর আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বলেছেন, ‘স্যার ডাকতে হবে বলে কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। এমপি হলে স্যার বলতে হবে। এ জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে মানতে পারছিল না। আমাকে স্যার বলতে কষ্ট হবে এমন লোকই ফলাফল পাল্টে পরাজিত করেছেন আমাকে। তারা ইভিএম কারসাজিতে হারিয়ে দিয়েছেন আমাকে।’
বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরেছেন হিরো আলম। এ নিয়ে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমপি হলে নাকি বাংলাদেশের সম্মানহানী হবে। এমন ভাবনা থেকেও হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। মশাল মার্কার অস্তিত্ব ছিল না। কাহালু-নন্দীগ্রাম আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি। কর্মকর্তাদের জোগসাজশে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ফলাফল মানি না।’
হিরো আলম বলেন, ‘সারাদিন ভোটারের উপস্থিতি ছিল না। হঠাৎ এত ভোট কোথা থেকে এলো বুঝতে পারছি না। মশাল মার্কার নির্বাচনী প্রচার ছিল না। মানুষের তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপর কীভাবে বেশি ভোট পেল বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’ তিনি দাবি করেন, এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ফলে সকালেই সদর আসনের ভরসা ছেড়ে দেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে চমক দেখিয়েছেন হিরো আলম। বুধবার উপনির্বাচনে এ আসনের মোট ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজর ৫৭১ ভোট।
তিনি বলেন, আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে। এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এই ফল মানি না। ফলাফল বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করব।
হিরো আলম বলেন, সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল, হিরো আলমের আজ কী হবে? গর্বে আমার বুকটা ভরে গেছে। এই নির্বাচন নিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষের আগ্রহ দেখে মনে হয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। মানুষ তাকিয়ে ছিল আমার বিজয় হবে। কিন্তু সেই বিজয় ছিনতাই হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহণের পর নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসনে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে যখন ফলাফল ঘোষণা চলছিল, তখন ৪৯ কেন্দ্রের মধ্যে এক থেকে ৩৯টি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষণা করা হয়। এরপর ফলাফল ঘোষণায় বিরতি দেওয়া হয়। কিছু সময় পর ১০ কেন্দ্রের ফল কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষণা না করেই জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে হঠাৎ করে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।