Search

শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

চসিক প্রকল্প পরিচালককে মারধর, গ্রেফতারকৃত ৪ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে পাঠানো ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মামলার আসামি।

তারা হলেন- শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস ও  শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ এবং ঘটনায় জড়িত মাহমুদুল্লাহ।

চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান জানান, চসিকের কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনের আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরের খুলশী থানায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

চসিকের মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এস. জে ট্রেডার্সের মালিক সাহাব উদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, নাজিম এন্ড ব্রাদার্সের নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ, অজ্ঞাত ঠিকানার ফরহাদ, ইফতেখার এন্ড ট্রেডার্সের ইউসুফ, জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের মালিক আশিষ বাবু ও আলমগীর।

রোববার বেলা পৌনে ৪টার দিকে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর ৪১০ নম্বর কক্ষে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কংকন নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বলয়ে ছিলেন। ২০১৫ সালে আ জ ম নাছির উদ্দীন চসিকের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কংকন ওই বলয়ে যোগ দেন। এখন তিনি নিজেকে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন।

গ্রেফতার সুভাষ দে আওয়ামী ঘরানার এবং বাকি দু’জন বিএনপি ঘরানার ঠিকাদার হিসেবে চসিকে পরিচিত বলে জানা গেছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print