
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা বিশ্বরোডের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কাজির দেউড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান বলেন, কোতোয়ালি থানার মামলায় মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দীপ্তি এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি। মামলার পর তিনি ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কুমিল্লা জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে মোশাররফ হোসেন দীপ্তির স্ত্রী নিহার সুলতানা জানান, মামলার হাজিরা দিতে দীপ্তি ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে কুমিল্লা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল না।
এদিকে, দীপ্তির মুক্তির দাবি চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলার যুবদলের নেতারা বিবৃতি দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে যুবদল নেতারা বলেন, মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে গ্রেফতার করে বিরোধী দলের চলমান সরকার পতন আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। ইতিহাস বলে নির্যাতন করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নগর বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষ চলাকালে গণমাধ্যম ও চিকিৎসকসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ২৫৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ১৩শ জনকে আসামি করে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।