শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি নেতা ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

প্রভাতী ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সিমকী ইমাম খান ।

এর আগে হঠাৎ ফুসফুসে পানি আসায় গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত অনেকের মামলা লড়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তিনি বরগুনার বামনায় ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা খন্দকার আবুল হাসান ছিলেন শিক্ষাবিদ। প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয় সেখানেই। পরবর্তীতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে নারায়নগঞ্জে চলে আসেন। ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র থাকা অবস্থায় খন্দকার মাহবুব হোসেন ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে তিনি মেট্রিক পাস করেন।

পরবর্তীতে ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী নটর ডেম কলেজে। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যাসোসিয়েশনের ভিপি নির্বাচিত হন।

তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করায় কয়েকজন সহযোগীসহ তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। সামরিক আদালতে তাদের বিচার শুরু হলে তিনি নিজেই মামলা লড়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পান। তবে সামরিক শাসক তাকে এমএ পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি।

১৯৬৪ সালে আইন পাস করে তিনি আইন পেশায় যুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপথ্যে থেকে সহায়তা করেন মুক্তিযোদ্ধাদের। ১৯৬৭ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে ওই বিচারে চিফ প্রসিকিউটরের (প্রধান কৌসুলি) দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে চারবার নির্বাচিত হন । এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইবার দায়িত্ব পালন করেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বিয়ে করেছেন অধ্যাপিকা ফারহাত হোসেনকে। দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print