
প্রভাতী ডেস্ক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমানসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার(৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। দলের মহাসচিব দাবি করেছেন, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানানো হয়নি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক বা গ্রেফতারের কোনও সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন। সংঘর্ষে ১জন নিহত হয়েছেন।
এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মীরাও পুলিশের ওপরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে রিজভীসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে বিএনপি এতে রাজি নয়। দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই গণসমাবেশ করতে চাইছে।
ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এখনও বিএনপির সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। বারবার অনুরোধ করার পরও তারা কথা শোনেননি। পুলিশ তাদের তুলে দিতে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।