
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার মালামাল ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। বৃহস্পতিবার(৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ব্যবসায়ী সমিতির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় চাক্তাইয়ের ৯০ শতাংশ এবং খাতুনগঞ্জের ৫০ শতাংশ দোকান ও গুদামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে দোকান ও গুদামে থাকা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মসলা, চাল, ডাল ও গমের মতো নিত্যপণ্য ডুবে নষ্ট হয়েছে।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, কর্ণফুলী নদীর পানি ধারণক্ষমতা কমে গিয়েছে। ফলে বৃষ্টি ছাড়াই নিচু এলাকার দোকান ও গুদামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, চার বছরেও স্লুইসগেটের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি সিডিএ। এক সময় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই নৌপথে পরিচালনা করা হতো। কালের পরিক্রমায় এখন ১০ শতাংশ নৌপথে এবং সড়ক পথে ৯০ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দ্বীপসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে নৌপথ ব্যবহার করে যে ১০ শতাংশ বাণিজ্য করা হতো, তাও এ স্লুইসগেটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে। ছোট নৌকায় নদীর মুখে নিয়ে বড় নৌকায় মালামাল লোড করতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে।
সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ৯০ শতাংশ দোকান ও গুদামে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চাল, ডাল ও মসলাজাতীয় পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ৩৫-৩৬শ টাকার ডালের বস্তা এখন মাছের খাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে শ-দেড়শ টাকায়। এছাড়াও কাঁচাপণ্যসহ অনেক পণ্য পচে যাওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে। মিরসরাই বারৈয়ারহাট ও দাউদকান্দির ওজন স্কেল ব্যবসায়ীদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে আমরা বড় কর্মসূচি দেব না। ডিসেম্বরের মধ্যে ওজন স্কেল তুলে না নিলে জানুয়ারিতে অনশন কর্মসূচি, অবস্থান ধর্মধটের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে ব্যবসায়ীরা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী, সমিতির সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, ফারুক আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আলম, হারাধন চৌধুরী, দেবাশীষ দাশগুপ্ত, হারুনুর রশিদ, বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।