শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে প্রিমিয়ার গ্র্যাজুয়েটরা:৩য় সমাবর্তনে ড. অনুপম সেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের নানা ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি, এই ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তনে যারা ডিগ্রি গ্রহণ করছে, তাদের উত্তর-জীবনও সাফল্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নগরের টাইগারপাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়  সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, মানসম্মত শিক্ষাকার্যক্রম ও বহুমুখী সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিদেশে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে।

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সৃজনশীলতা সৃষ্টির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে যে দেশ যত বেশি এগুচ্ছে, সে দেশই বিশ্বে নেতৃত্বের ভূমিকায় এগিয়ে আসছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী একজন বিশ্ব নেতা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনিও অনুভব করেছিলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে জ্ঞান-সমৃদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হবে। তাই তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষাকে।

ড. অনুপম সেন বলেন, বাংলাদেশকে জ্ঞান-সমৃদ্ধ করে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রাক্তন মেয়র ও মানবতাবাদী রাজনৈতিক নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য কেবল জ্ঞান অর্জন নয়, জ্ঞান সৃষ্টি করা, এই লক্ষ্যে ও আদর্শে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিগ্রিকে মূল্য দিলেও আরো বেশি মূল্য দেয় তার শিক্ষার্থীরা যেন জীবনের ক্ষেত্রে এই ইউনিভার্সিটি থেকে তাদের অর্জিত জ্ঞানকে ব্যবহার করতে পারে।

তৃতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ভারতের শিক্ষাবিদ ও লেখক, রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার। এছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন ১১০৯ জন গ্র্যাজুয়েট। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় সমাবর্তনে ৩জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও ৩জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, ৩জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও ৩জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী গোল্ড মেডেল এবং ৩জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও ৩জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে। এছাড়া ১৮ জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও ১৩ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে ডিন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print