
এম.জিয়াউল হক: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় দুই ভাই-বোনকে বখাটে কর্তৃক আটকে রেখে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ছেলেমেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও হামলার শিকার হন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ই আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার ধলই ইউনিয়নে।
এদিকে দুপুরে হামলাকারী সন্দেহে পুলিশ সদস্যরা মো. সাকিব নামে একজনকে আটক করে উপজেলার ধলই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনার জের ধরে কিছু লোক হামলা চালিয়ে ইউপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর। এ সময় চেয়ারম্যানকে আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় মোহাম্মদ রুস্তম (৩৫) নামে হাটহাজারী থানার এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।
এছাড়া হামলাকারীরা দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখলে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে ধলই ইউনিয়নের সোনাইকুল এলাকার আপন দুই ভাই-বোন প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মুনিয়া পুকুরপাড়ের এনায়েতপুর বাজারে পৌঁছলে মো. সাকিব ও মো. মেহেদী নামে দুই বখাটে তাদের থামায় এবং ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ অপবাদ দিয়ে আটকে রেখে উত্ত্যক্ত করে। খবর পেয়ে বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে উত্ত্যক্তকারীরা তাকেও মারধর করে। পরে মো. সাকিব নামে একজনকে আটক করে ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর বলেন, ‘ঘটনার জের ধরে উত্ত্যক্তকারীদের সঙ্গে আরো কিছু লোকজন গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে জানালার কাঁচসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আমাকে আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশের সহযোগিতায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই।’
হাটহাজারী থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘কোচিংয়ে যাওয়ার সময় তাদের (ভাই-বোন) আটকে রাখে বখাটেরা। পরে তাদের ছাড়াতে এসে তাদের বাবাও মারধরের শিকার হন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই বখাটেকে আটক করলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে পরিষদ কার্যালয়ে যাই। সেখানে হামলা চালিয়ে বখাটেদের ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’