
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরের বুকে এক টুকরো সুবজে ঘেরা সিআরবিতে আধুনিক হাসপাতালের নামে শতবর্ষী গাছ কাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনসহ সর্বস্তরের জনগণ। তবে জনগণের বিরোধিতা থাকলেও বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতালটির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নতুন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজ থেকে পিছু হটছে না রেলওয়ে।
যতই বিরোধিতা থাকুক প্রস্তাবিত জায়গাতেই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধীতাকারীরা বিরোধিতা করবেই। আমরা প্রস্তাবিত জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ করব। সেখানে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। আমরা সব কিছু মেনটেইন করে আমাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।’
অপরদিকে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একই সময়ে লিখেছেন, ‘ ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। সুতরাং বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আস্থা রাখুন। চট্টগ্রামে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সদরদপ্তর সিআরবির একটি জায়গায় সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণ এবং পরিবেশ ও বৃক্ষ সংরক্ষণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে শীঘ্রই আলোচনা করে এর একটি সমাধান করা হবে।’
তিনি আরো লিখেনে, ‘শহরের প্রানকেন্দ্রে এই দৃষ্টিনন্দন সবুজ জায়গায়, পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে এই উন্মুক্ত জায়গায় যেনো অবকাঠামো নির্মাণ না হয়, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের জায়গা আর উন্মুক্ত জায়গা সমূহের স্থান এক নয়, বা একই জায়গায় কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। একই স্থানে হলে সেটিকে সরানোর প্রয়োজন হবে। কোনোভাবেই উন্মুক্ত জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে না।’
সাত রাস্তার মোড় হয়ে সড়কের বাম পাশে বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতাল, পাশের খালি জমি, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি রোড এবং এই রাস্তাটির দুপাশে থাকা প্রায় ৫০টি কর্মচারী কোয়ার্টার (একতলা সেমিপাকা) নিয়ে মোট ছয় একর জমিতে হাসপাতালটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভায় প্রকল্পটি পিপিপিতে বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পিপিপি প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয় সিসিইএ সভায়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।