বৃহস্পতিবার, ১৭ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ১৭ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ১৭ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

যে সহজ ২ আমলে মুক্তি পাবে উদাসীন মানুষ

ধর্মীয় ডেস্ক: আমল-ইবাদত তথা ভালো কাজের ব্যাপারে সাধারণত অনেক মানুষ উদাসীন থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসব মানুষের কল্যাণ ও জান্নাত দানের জন্য হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট নসিহত পেশ করেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, (মানুষের) দু’টি অভ্যাস এমন আছে, যে এর ওপর আমল করবে; সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর তা অত্যন্ত সহজ, অথচ তার আমলকারী হবে নিতান্তই কম। আর অভ্যাস দুটি হলো-

১. প্রত্যেক নামাজের পর ১০ তাসবিহ পড়া

প্রত্যেক নামাজের পর- সুবহানাল্লাহ ১০ বার; আলহামদুলিল্লাহ ১০ বার; আল্লাহু আকবার ১০ বার পড়া।

হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি তিনি নিজ আঙ্গুলের উপর তা গুণেছিলেন। এ ভাবে তিনটি কালেমা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর ১০ বার করে নিয়মিত পড়লে তা ১৫০ বার হবে। কিন্তু আমল ওজন করার পাল্লায় (১০ গুণ বৃদ্ধির কারণে) পনের শ’ হয়ে যাবে।

২. ঘুমের সময়ের তাসবিহ

যখন (ঘুমের সময়) শোয়ার জন্য বিছানায় যাবে তখন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ- ৩৩ বার পড়বে এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়বে। সব মিলে একশ কালেমা পড়া হলেও সওয়াবের হিসাবে (দশ গুণ বেড়ে যাওয়ার কারণে) এক হাজার নেকি হবে। এখন এটাও সারা দিনের নামাজের পরের সংখ্যা মিলিয়ে মোট দুই হাজার পাঁচশ নেকি হয়ে যাবে।

তাসবিহগুলো হলো-

– সুবহানাল্লাহ

– আলহামদুলিল্লাহ

– আল্লাহু আকবার

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, সারাদিন দুই হাজার পাঁচশ গোনাহ কে করে? অর্থাৎ এ পরিমাণ গোনাহ হয় না অথচ এই আমল করার দ্বারা দুই হাজার পাঁচশ নেকি হয়ে যায়।

এ আমলে উদাসীন থাকার কারণ বর্ণনায় বিশ্বনবির বক্তব্য

অতঃপর হজরত আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই অভ্যাসগুলোর উপর আমলকারী কম হওয়ার কারণ কী?

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন- ‘(কারণ এই যে) শয়তান নামাজের মধ্যে এসে বলে, অমুক প্রয়োজন বা অমুক কথা স্মরণ কর। অবশেষে তাকে বিভিন্ন খেয়ালে মশগুল করে দেয়, যেন এই কালেমাগুলো পড়ার কথা খেয়াল না থাকে। আর বিছানায় এসে তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে। এইভাবে সে কালেমাগুলো না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে।’ (ইবনে হিববান, আবু দাউদ, তিরমিজি)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর ১০ তাসবিহ এর আমল করা। উদাসীনতা পরিহার করে ঘুমের সময়ও এ আমল অব্যাহত রাখা। এতে একদিকে যেমন উদাসীনতা পরিহার করা সহজ হবে। আবার আল্লাহর অশেষ রহমতে আমলকারী পাবেন জান্নাতের নিশ্চয়তা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক নামাজের পর এবং ঘুমের সময় বিছানায় শুয়ে এ তাসবিহগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print