শুক্রবার, ৬ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ৬ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ৬ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

সাংবাদিক কটুক্তি মামলায় শমী কায়সারকে অব্যাহতি !

প্রভাতী ডেস্ক : সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করার অভিযোগে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ঠা মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ৩রা ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই’র পরিদর্শক লুৎফর রহমান। মূলত এ মামলায় সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই।

পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।

স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মানহানির মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ২৪শে অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।

প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে মানহানিকরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য ও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর স্টুডেন্টস জার্নাল বিডি’র সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। এ নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে শমী কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি চুরি করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print