
প্রভাতী ডেস্ক : মহামারী করোনা ভাইরাসের কাছে হার মানলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম । রোববার (২৭শে সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার ছেলে সুমন মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বলেন, আমার বাবা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মারা যান।
গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১৮ই সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাহবুবে আলমকে আইসিইউতে নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
মাহবুবে আলম ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ই নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।