বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

দোকান-মার্কেট খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত, রাত ১০টার পর বাইরে যাওয়া নিষেধ !

প্রভাতী ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনসাধারণের চলাচলে নতুন বিধি নিষেধ জারি করলো সরকার। এই আদেশ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আগের জারি করা বিধি-নিষেধ ৩রা আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ ছিল। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। হাটবাজার, দোকান-মার্কেট ইত্যাদিতে বাড়তি সতর্কতায় থাকতে হবে এবং সন্ধ্যা ৭ টার পরিবর্তে রাত ৮টার মধ্যে এগুলো বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩রা আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বিষয়টি জানানো হয়। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪ঠা আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত চলাচলে নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে এবং সাপ্তাহিক ছুটি এ নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অফিস আদেশে আরো বলা হয়, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) ব্যতীত বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না। বাসস্থানের বাইরে সবসময় মাস্ক পরতে হবে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

পাশাপাশি হাটবাজার, দোকান ইত্যাদিতে বাড়তি সতর্কতা থাকতে হবে এবং রাত ৮টার মধ্যে এগুলো বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিধি মেনে খোলা থাকবে বলে অফিস আদেশে জানানো হয়েছে। গণপরিবহনসহ সবধরনের যানসমূহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে চলাচল করবে।

উক্ত নিয়ন্ত্রণকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। উক্তসময়ে সকল প্রকার সভা সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে। ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অসুস্থ, স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রদত্ত প্রতিপালন পূর্বক মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা পরিচালনা করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রণীত ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি জোনভিত্তিক সংযমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কৌশল/গাইড’ অনুসরণ করে সংক্রমিত এলাকা নিয়ন্ত্রন করতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print