
নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ তার পরিবারের ১১ সদস্য। আক্রান্তরা হচ্ছেন তাঁর স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি, এক মেয়ের জামাই, এমপির একান্ত সহকারী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল ও ৩ গৃহকর্মী। তারা সকলেই চট্টগ্রাম নগরীর নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমানের একান্ত সহকারী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করলে গত ১লা জুন এমপি মহোদয়সহ পরিবারের ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিআইটিআইডি’র নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে পরিবারের মোট ১১ জনের করোনা পজেটিভ আসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের নির্দেশনা অনুসারে এমপি স্যার ও আক্রান্ত সবাই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমপি স্যারসহ সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন।’
তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে গাড়িচালকদেরও ছুটি দেওয়া হয়। বাসায় মানুষের যাওয়া-আসাও সীমিত করা হয়েছে। স্যার তেমন কোনো মিটিং-সেমিনারেও যোগ দেননি। তিনি নিজে এবং পরিবারের কোনো সদস্য বাসা থেকে তেমন বেরও হননি। শুধু ১৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আহ্বানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন।’
রাসেল আরো বলেন, ‘নিজের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন, তবে তা ১৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ছিলেন তিনি। এর পরেও করোনায় আক্রান্তের হিসাব মেলাতে যাচ্ছে।’
রাসেল আরো বলেন, ‘ঈদের আগে নিজ এলাকা বাঁশখালীতে গেলেও বাড়িতে লোকজনের ভিড় হওয়ার শঙ্কায় পুনরায় শহরে ফিরে আসেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ঈদ করেছেন শহরেই। তবে ঈদের সময় বাসায় বেশ কিছু সংখ্যক অতিথি এসেছিলেন। যদিও অতিথিদের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন তিনি।’