শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

বন্ধই থাকছে গণপরিবহন, ১৫দিনের পরীক্ষামূলক অফিসে সরকার

প্রভাতী ডেস্ক : আর বড়ছেনা সাধারণ ছুটি। আগামী রবিবার (৩১ই মে) থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সীমিত পরিসরে খুলছে সরকারি অফিস। তবে এখনি গণপরিবহন খুলছে না। দেশব্যাপী গণপরিবহনের যে লকডাউন পরিস্থিতি চলছে তা অব্যাহতই থাকবে, বন্ধ থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে একদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটি বাড়ানো হলো না, অন্যদিকে একবারে সবকিছু খুলেও দেওয়া হলো না। ফলে এটা দুই সপ্তাহের জন্য একটা পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা বলে অভিহিত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ বিশেষভাবে বেড়ে না গেলে পর্যায়ক্রমে গণপরিবহন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের দিকে এগুবে সরকার। আর যদি সংক্রমণ বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন,  ৩১শে মে থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস করবে। অসুস্থ, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা অফিসে আসবে না, গণপরিবহন চলবে না। স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে ১৫ই জুন পর্যন্ত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশব্যাপী হাট বাজার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যান চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচলের রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হবে। বিমান পরিচালনার বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরো জানান, বেসরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে তারাও অসুস্থ, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের অফিস করাবেন না। যেসব সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসের নিজস্ব গাড়ি (বাস, মাইক্রো) আছে তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। তবে যাত্রীবাহী বাস, নৌ-যান, রেল চলবে না।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারকে দুই কূলই রক্ষা করতে হচ্ছে। এমনিতেই দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি থাকলেও জরুরি প্রয়োজনের সব অফিসই সীমিত পরিসরে খোলা ছিল। বুধবার(২৭ই মে) সচিবালয়েও অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সীমিত আকারে খোলা ছিল। তাই সরকারি অফিস সীমিত আকারে খোলা রেখে সরকার পরীক্ষা করে দেখছে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। সীমিত আকারের অফিস খোলার ১৫ দিনের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও ছুটি শিথিল করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বভাসে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের এই মহামারি সহসা দূর হবে না। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না। যতদিন না কোন প্রতিষেধক টীকা আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করেই হয়তো আমাদের বাঁচতে হবে। জীবন-জীবিকার স্বার্থে চালু করতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।’

প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘বিশ্বের প্রায় সকল দেশই ইতোমধ্যে লকডাইন শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে তো মোটেও নয়।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print